বেনাপোলে বসুন্ধরা গ্রুপের সহযোগিতা কম্বল বিতরণ

অশীতিপর জাহান আলী (৭০) এসেছেন যশোরের বেনাপোল পোর্ট থানার কাগজপুকুর গ্রাম থেকে। শীতের কম্বল পেয়ে স্ফীত হাসি দিয়ে উচ্ছাসস প্রকাশ করে বলেন, শীতে আমাকে কাহিল করে দিছে।

এই কম্বল পেয়ে উপকারের ভাষা কয়ে আমি বুঝোতি পারব না। নামাজগ্রামের জয়নব বিবি (৫৫) বলেন, গ্রামের গরিবদের শীতের কষ্ট দেখার লোক নেই।

যারা আমাগের (আমাদের) মতো গরিব মাইনসের (মানুষদের) খোঁজ নিয়ে শীতের কাপড় (কম্বল) দেচ্ছে তাগেরে (তাদের) আল্লাহ বাঁচায় (বাঁচিয়ে) রাখুক।

বড়আঁচড়া গ্রাম থেকে আসা জাহানারা বেগম (৬০) কম্বল পেয়ে বলেন, ডেকে ডেকে কম্বল কয়জনা দেয়? যেটা পেয়েছি তাতেই খুব খুশি হলাম। শীত নিবারণে কিছুটা হলেও উপকার হবে।

একই ভাবে সাদীপুরের সখিনা বেগম (৫৫), সাজেদা বেগম (৬০), ছোট আঁচড়ার জামেরুন নেছা (৭২), ভবারবেড়ের আলী হোসেন (৫৫), নুর নাহার (৫৮),

গাজীপুরের জবেদা খাতুন (৪৫), গাজীপুরের সাহিদা খাতুন (৫০) কম্বল পেয়ে খুশি তারা। এ সময় শীতার্ত মানুষের চোখে-মুখে ছিল খুশি আর আনন্দের উচ্ছাস।

আবেগে আপ্লুত হয়ে উপস্থিত সবাই বসুন্ধরা গ্রুপকে ধন্যবাদ জানিয়ে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে। সোমবার বেলা ১১টায় যশোরের বেনাপোল পোর্ট থানায় বসুন্ধরা গ্রুপের অর্থায়নে কালের কণ্ঠ শুভসংঘের বন্ধুরা ২০০ জন শীতার্তের মাঝে কম্বল বিতরণ করেন।

বেনাপোল রেল স্টেশন রোডের সীমান্ত প্রেস ক্লাবের সামনে কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন পৌর আওয়ামীলেিগর সভাপতি আলহাজ এনামুল হক মুকুল।

প্রধান অতিথি হিসেবে শীতার্তদের মধ্যে কম্বল বিতরণ করেন থানার সেকেন্ড অফিসার মাসুম বিল্লাহ। এ সময় মাসুম বিল্লাহ তার প্রতিক্রিয়ায় বলেন, বেনাপোলে বসুন্ধরা গ্রুপের পক্ষ থেকে যে কম্বল বিতরণ করা হলো তা সত্যিই প্রশংসার দাবি রাখে।

আমি গর্বিত এই মহৎ অনুষ্ঠানে থাকতে পেরে। বসুন্ধরা গ্রুপকে আমি কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানাচ্ছি সারা দেশের শীতার্ত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য।

আলহাজ এনামুল হক মুকুল বলেন, একটি করে কম্বল পেয়ে ২০০ মানুষ যতটুকু উপকার পেল তা অবশ্যই মহতী উদ্যোগ। আমরা চাই এমন কার্যক্রম অব্যাহত থাকুক। বেনাপোলের শীতার্ত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য ধন্যবাদ জানাই বসুন্ধরা গ্রুপের সবাইকে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন বেনাপোল প্রেসক্লাবের সহসভাপতি ও বাংলাদেশ প্রতিদিনের বেনাপোল প্রতিনিধি বকুল মাহাবুব, বেনাপোল হাইস্কুলের শিক্ষক আব্দুল হাই, কালের কন্ঠের বেনাপোল প্রতিনিধি জামাল হোসেন,

সীমান্ত প্রেসক্লাবের সভাপতি সাহিদুল ইসলাম শাহিন, সাধারন সম্পাদক আইয়ুব হোসেন পক্ষী, মনির হোসেন, আরিফুল ইসলাম সেন্টু, আসাদুজ্জামান রিপন, লোকমান হোসেন, মুক্তার হোসেন, জাকির হোসেন, সংগ্রাম হোসেন, ইমরান হোসেনসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।