শ্রদ্ধা আর চোখের জলে চিরনিদ্রায় শায়িত ড. ফারুক হোসাইন

শ্রদ্ধা ভালোবাসা আর চোখের জলে চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) সমাজকর্ম বিভাগের অধ্যাপক ড. ফারুক হোসাইন।

হাজার মানুষের অংশগ্রহণে তার নামাজে জানাজা সম্পন্ন হয়েছে। মঙ্গলবার বাদআসর যশোর সদর উপজেলার চুরামনকাটি ইউনিয়নের দোগাছিয়া আহসাস নগর মাদ্রাসা ময়দানে তার নামাজে জানাযা অনুষ্ঠিত হয়।

এর পর পারিবারিক কবর স্থানে তাকে চির নিদ্রায় শায়িত করা হয়েছে। জানাজায় ইমামতি করেন মরহুমের বড় ভাই দৈনিক নয়াদিগন্তের চীফ রিপোটার হারুন জামিল। এতে শীর্ষস্থানীয় আলেমরা ও রাজনীতিবিদ, সংবাদিক সহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার বিপুল সংখ্যাক মানুষ অংশ নেন।

জানাজার আগে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন, বিএনপির খুলান বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক(ভারপ্রাপ্ত) অনিন্দ্র ইসলাম অমিত, পাবনা বিজ্ঞান প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজ কর্ম বিভাগের প্রতিষ্টা সভাপতি ড. আওয়াল করীর জয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজ কর্ম বিভাগের প্রফেসর ড. আশরাফুজ্জামান,

প্রফেসর ড.মোঃ আক্তার হোসেন মজুমদার, সহযোগী অধ্যাপক ড. মোহম্মদ জামিরুল ইসলাম, দোগাছিয়া আহসাস নগর জামে মসজিদের ইমাম মোঃ আব্দুল ওয়াদুদ।

জানায়া আরও উপস্থিত ছিলেন প্রেসক্লাব যশোরের সম্পাাদক তৌহিদুর রহমান, সাবেক সম্পাদক আহসান কবীর, লোক সমাজ পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক আনারুল কবির নান্টু, বাংলাদেশ ফেড়ালের সাংবাদিক উইনিয়নের সহসভাপতি রাশেদুর ইসলাম, নির্বাহী সদস্য এইচ এম আলাউদ্দিন,

সংবাদিক নেতা শাসছুর আলম খোকন, আব্দুর রাজ্জাক রানা, আকরামুজ্জামান, অধ্যাপক মশিউল আযম, যশোর জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির যুগ্মআহবায়ক দেলোয়ার হোসেন খোকন, সদস্য মিজানুর রহমান খান, জামায়াত নেতা নরুন নবী, চুরামনকাটি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুর মান্নান মুন্না , দৈনিক নয়াগিন্তের শার্শা প্রতিনিধি আব্দুল মান্না প্রমুক।

ভোরে থেকেই লোকে লোকারণ্য হয়ে যায় দোগাছিয়া। তারা দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এসেছেন। ধারণা করা হচ্ছে, স্মরণকালের এ এলাকার বৃহৎ জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

তারা স্মৃতিচারণ করে অধ্যাপক ড. ফারুক হোসাইন কর্মবহুল জীবনের নানাদিক নিয়ে কথা বলেন। এবং যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যারয়, ইসলামী বিশ্ববিদ্যারয়, বরিশাল বিশ্ববিদ্যারয়, ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যারয়ের পক্ষে থেকে মরহুমের রুহের মাগফিরাত কামনা ও পরিবারের প্রতি সমবেদন্ধাসঢ়; জানানো হয়।

অধ্যাপক ড. ফারুক হোসাইরে কফিন বিমান যোগে আজ সকাল নয়টায় মুম্বাই থেকে বিমানে কলকাতা এয়ার পোর্টে পৌছায়। কলকাতা থেকে সড়ক পথে দুপুর ১২টায় পেট্টাপোল পৌছায়।

মঙ্গলবার দুপুরে বেনাপোল স্থালবন্দর দিয়ে দেশে পৌছিয়েছে তার মরা দেহ দৈনিক নয়াদিগন্তের চীফ রিপোটার হারুন জামিলের ছোট ভাই রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) সমাজকর্ম বিভাগের অধ্যাপক ড. ফারুক হোসাইরে মরা দেহ। আজ দুপুর ১ টায় বেনাপোল স্থার বন্দর দিয়ে দেশে প্রবেশ করে।

দৈনিক নয়াদিগন্তের চীফ রিপোটার হারুন জামিলসহ পরিবারের সদস্যরা তার কফিন গ্রহন করেন। স্থল পথে যশোরে হয়ে তার মরা দেহ পৌছাবে জম্ম স্থান যশোর সদরের দোগাছিয়া গ্রামে পৌছায়।

ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে হোসাইন ইন্তেকাল করেছেন। সোমবার ভোর পৌনে ৬টায় ভারতের মুম্বাইয়ের টাটা মেমোরিয়াল হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন তিনি।

জানা গেছে, অধ্যাপক ফারুক ২০১৯ সালে ফুসফুস ক্যান্সারে আক্রাšন্ত হন। ভারতের টাটা মেমোরিয়াল হাসপাতালে দীর্ঘদিন চিকিৎসাধীন ছিলেন। এরপর তিন চার মাস আগে চেকআপ করতে গিয়ে দেখেন তার ঔষধগুলো ঠিকমতো কাজ করছে না। ফলে কেমো দেয়া হয়। সেখানে তাকে অক্সিজেন সাপোর্টে রাখা হয়েছিল।

প্রসঙ্গত, অধ্যাপক ফারুক হোসাইন ১৯৭২ সালে যশোর সদর উপজেলার দোগাছিয়ায় জন্মগ্রহণ করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট থেকে ১৯৯৩ ও ১৯৯৪ সালে তিনি যথাক্রমে বিএসএস (সম্মান) ও এমএসএস পরীক্ষায় প্রথম শ্রেণীসহ উত্তীর্ণ হন। ২০০২ সালে তিনি রাবি সমাজকর্ম বিভাগে প্রভাষক পদে যোগ দেন ও ২০১৭ সালে অধ্যাপক পদে উন্নীত হন। তিনি স্ত্রী এবং এক মেয়ে রেখে গেছেন।