বেনাপোল সীমান্তের প্রধান ফটকের সৌন্দর্য বর্ধন করা হবে: মেয়র লিটন

যশোর জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক বেনাপোল পৌর মেয়র আশরাফুল আলম লিটন বলেছেন, বেনাপোল পৌর সভার সকল নাগরিক পৌরসভার সকল প্রকার সুযোগ সুবিধা পাবে।

এই পৌরসভায় আধুনিক পৌর পার্ক বিনোদন কেন্দ্র স্থাপন করার জন্য পৌরসভা পরিকল্পনা গ্রহন করেছেন। পৌর এলাকার ময়লা আবর্জনা দিয়ে জৈব সার তৈরির জন্য সকল ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে।

এখানকার নাগরিকরা শতভাগ স্যানিটেশন সুযোগ সুবিধা ও সুপেয় পানি গ্রহন করবে তার জন্যও কাজ চলছে। বেনাপোল সীমান্তবর্তী একটি শহর। এই শহরের সাথে মিশে আছে দেশের সন্মান মর্যদা।

কারন এই শহর দিয়ে ভারত যাতায়াত করে দেশ বিদেশের বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষ। নগর উন্নয়ন এর সদস্য দের সাথে ত্রৈমাসিক বৈঠকে কথা গুলো বলেন মেয়র আশরাফুল আলম লিটন।

বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১০ টার সময় বেনাপোল পৌর কনফারেন্স রুমে সভায় সভাপতিত্ব করেন মেয়র আশরাফুল আলম লিটন। এসময় তিনি বলেন বেনাপোল চেকপোষ্টের প্রধান ফটকের গেটে মিশে রয়েছে দেশের ভাবমুর্তি। ভারত বাংলাদেশে দুই দেশের মর্যদা নির্ভর করে এই প্রবেশদ্বার।

খুব দ্রুত ওই গেটের সংস্কার করতে হবে। আধুনিক মানের গ্রানাইট মার্বেল পাথর দিয়ে সৌন্দর্য বর্ধন করা হবে বাংলাদেশ সীমান্তর বেনাপোলের প্রধান ফটক। এ জন্য খুব দ্রুত কাজ করতে প্রকৌশলীদের তিনি নির্দেশ দেন।

বেনাপোল পৌর সভা নির্বাচন সম্পর্কে মেয়র লিটন বলেন আমি পদ আকড়ে ধরে রাখতে চাই না। এখানে নির্বাচন হোক নতুন নতুন মুখ প্রতিনিধিত্ব করুক আমি সেটাই চাই।

বেনাপোল পৌর সভা এলাকাকে আরো আধুনিক মানের গড়ে তোলার জন্য সরকার পরিকল্পনা নিয়েছিল পৌরসভাটিকে ২৪ বর্গ কিলোমিটার করতে।

বর্তমানে পৌরসভাটি রযেছে ১৭.৪০ বর্গ কিলোমিটার। এর জন্য হয়ত নির্বাচন হয়নি। আমি নির্বাচনে বিশ্বাসী। পৌরসভা নির্বাচনে যারা প্রতিনিধিত্ব করবেন তারা আরো ভালো কাজ করবে আমি আশাবাদি।

এই পৌর সভায় এখন প্রচুর সম্পদ রয়েছে। সেগুলো কাজে লাগিয়ে পৌরবাসিকে আরো উন্নত সেবা দেওয়া যাবে। মেয়র লিটন বলেন, বেনাপোল পৌরসভার যাত্রা শুরু হয় ২০০৬ সালের ৫ মে।

৯টি ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত পৌরসভা। এখানে প্রায় ৮৮ হাজার ৬৭২ জন লোকের বসবাস। ভোটার সংখ্যা প্রায় ৫০ হাজার। ২০১১ সালের নির্বাচনে আমি মেয়র হিসাবে দায়িত্ব নিয়ে এই পৌরসভাকে গ শ্রেনী থেকে ক শ্রেনীতে নিয়ে এসেছি। এলাকার অনেক উন্নয়ন হয়েছে তারপরও কিছু ত্র“টি বিচ্যুতি থেকে যাবে।

সেই আঙ্গিকে পৌর কর্তৃপক্ষ কাজ করে যাচ্ছে। তিনি বলেন দায়িত্ব নিয়ে রাস্তাঘাট নির্মান ও সংস্কার করা হয়েছে। পৌর বাসির যাতে কাঁদা পাড়াতে না হয় সেই লক্ষে কাজ করা হয়েছে।

জলাবদ্ধতা সমস্যার সমাধান করা হয়েছে। নুতুন ট্রাক ও বাস টার্মিনাল নির্মাণ করা হয়েছে। ময়লা আবর্জনার জন্য আমড়খালী নামক স্থানে স্থায়ী জায়গা ক্রয় করা হয়েছে।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, বেনাপোল পৌর আওয়ামীলীগের আহবায়ক ও টিএলসিসি সদস্য আহসান উল্লাহ  মাষ্টার, শার্শা উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও টিএলসিসি সদস্য আব্দুল মালেক ,দপ্তর সম্পাদক ও টিএল সিসি সদস্য আজিবর রহমান,

বেনাপোল পৌর প্যানেল মেয়র সাহাবুদ্দিন মন্টু, পৌর কাউন্সিলর আমিরুল ইসলাম, পৌর সচিব সাইফুল ইসলাম, বেনাপোল ফায়ার সার্ভিস এর ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রতন দেবনাথ,বেনাপোল হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক মোখলেছুর রহমান, বেনাপোল পৌর যুবলীগের আহবায়ক ও টিএল সিসি সদস্য সুকুমার দেবনাথ, সাংবাদিক আব্দুর রহিম, আনিছুর রহমান, মিলন হোসেন প্রমুখ।