যশোর বোর্ডে জিপিএ-৫ প্রাপ্তি অতীতের সব রেকর্ড ভেঙ্গেছে

jessore education board

এবার যশোর বোর্ডে এসএসসি পরীক্ষায় পাসের হার ও জিপিএ-৫ প্রাপ্তি অতীতের সব রেকর্ড ভেঙ্গেছে।
পাসের হার ৯৩ দশমিক ০৯ শতাংশ এবং জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৬ হাজার ৪৬১ জন শিক্ষার্থী। এর আগে ২০১৩ সালে সর্বোচ্চ পাসের হার ছিলো ৯২ দশমিক ৬৪ ভাগ।

বৃহস্পতিবার প্রকাশিত ফলাফলে যশোর বোর্ডের এ চিত্র পাওয়া গেছে। যশোর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মাধব চন্দ্র রুদ্র বলেন, অন্যবারের তুলনায় এবার ১ লাখ ৭৮ হাজার ৭৯৫ জন শিক্ষার্থী এসএসসি পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করে।

এদের মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছে ১ লাখ ৬৬ হাজার ৪৩৯ জন। পাসের হার ৯৩ দশমিক ০৯ ভাগ। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৬ হাজার ৪৬১ জন। প্রতিবছরের মত এবারো তাক লাগানো ফলাফল করেছে বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীরা। এই বিভাগে পাসের হার ৯৭ দশমিক ৭০ ভাগ।

জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৪ হাজার ২২৪ জন। বোর্ডে পাসের হারে বিজ্ঞানের পরেই রয়েছে ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগ। এই বিভাগে পাসের হার ৯৭ দশমিক ২৯ ভাগ। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৮৬৮ জন। আর মানবিক বিভাগে পাসের হার ৯০ দশমিক ৬৪ ভাগ। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ হাজার ৩৬৯ জন।

উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মাধব চন্দ্র রুদ্র বলেন, যশোর বোর্ডে পাসের হার ও জিপিএ-৫ প্রাপ্তি অতীতের সব রেকর্ড ভেঙ্গেছে। ২০১৩ সালের পরে এবারই সর্বোচ্চ পাসের হার অর্জন করেছে শিক্ষার্থীরা। ২০২০ সালে পাসের হার ছিল ৮৭ দশমিক ৩১ ভাগ ও জিপিএ-৫ পেয়েছিলো ১৩ হাজার ৭৬৪ জন শিক্ষার্থী।

সে অনুযায়ী গতবছরের চেয়ে এবছর যশোর বোর্ড থেকে ২ হাজার ৬৯৭ জন শিক্ষার্থী বেশি জিপিএ-৫ পেয়েছে। আর পাসের হার ৫ দশমিক ৭৮ শতাংশ বেড়েছে। ২০১৯ সালে যশোর বোর্ডে পাসের হার ছিলো ৯০ দশমিক ৮৮ ভাগ। জিপিএ-৫ পেয়েছিলো ৯ হাজার ৯৪৮ জন।

২০১৮ সালে পাসের হার ছিলো ৭৬ দশমিক ৬৪ ভাগ। জিপিএ-৫ পেয়েছিলো ৯ হাজার ৩৯৫ জন। ২০১৭ সালে পাসের হার ছিলো ৮০ দশমিক ০৪ ভাগ। জিপিএ-৫ পেয়েছিলো ৬ হাজার ৪৬০ জন। ২০১৬ সালে পাসের হার ছিলো ৯১ দশমিক ৮৫ ভাগ। জিপিএ-৫ পেয়েছিলো ৯ হাজার ৪৪৪।

২০১৯ সালের আগে ২০১৬ সালেই পাসের হার ৯০ এর কোটা অতিক্রম করেছিলো। যদিও ২০১৫ সালে পাসের হার ছিলো ৮৪ দশমিক ৫১ ভাগ। আর জিপিএ-৫ পেয়েছিলো ৭ হাজার ১৯৮ জন শিক্ষার্থী। ২০১৪ সালে পাসের হার ছিলো ৯২ দশমিক ২৬ ভাগ। জিপিএ-৫ পেয়েছিলো ১০ হাজার ৯৬৯ জন শিক্ষার্থী।

২০১৩ সালে যশোর বোর্ড থেকে ১ লাখ ১৮ হাজার ৩২৭ পরীক্ষার্থীর মধ্যে ১ লাখ ৯ হাজার ৬১৯ জন উত্তীর্ণ হয়েছিলো। পাসের হার ছিলো ৯২ দশমিক ৬৪ ভাগ। জিপিএ-৫ পেয়েছিলো ৯ হাজার ১০১ জন শিক্ষার্থী।

এবারের আগে স্মরণকালের মধ্যে ২০১৩ সালেই যশোর বোর্ড পাসের হারে শ্রেষ্ঠ ফল অর্জন করেছিলো।শিক্ষার্থীরা ভাল ফল করেছে। করোনা প্রাদুর্ভাবের কারণে এ বছর সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে পরীক্ষা হয়েছে।