অবাধ-সুষ্ঠু নির্বাচন চাই: আইভী

নারায়ণগঞ্জ সিটিতে অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন দেখতে চান আওয়ামী লীগের প্রার্থী সেলিনা হায়াৎ আইভী। নির্বাচন কমিশনকে সেই অনুরোধ করেছেন তিনি। আগের দুইবারের মতোই আবার জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী

আগামী ১৬ জানুয়ারির ভোটকে সামনে রেখে বন্দরনগরীতে নির্ঘুম প্রচারে ব্যস্ত আইভী। সোমবার সকাল থেকে নগরীর সিদ্ধিরগঞ্জ এলাকায় ৬ ও ৭ নম্বর ওয়ার্ডে গণসংযোগ করেন। এ সময় তিনি এসব কথা বলেন।

আইভী বলেন, নারায়ণগঞ্জে বিগত সময় সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ ভোট হয়েছে। উনি (প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী তৈমূর আলম খন্দকার) নিজেও তা জানেন। আমি নির্বাচন কমিশনকে অনুরোধ করব, বিগত সময় যেভাবে অবাধ, নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু ভোট হয়েছে, এবারও যেন তারা সুন্দর একটি নির্বাচন আমাদের উপহার দেন।

আইভী নিশ্চিত, গত দুই নির্বাচনের মতো তিনি এবারও বড় ব্যবধানে জিতে টানা তৃতীয়বারের মতো মেয়র হবেন। এই আত্মবিশ্বাসের কারণ হিসেবে বলেছেন, তিনি কখনও মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দেন না।

তাই জনগণ জানে, তিনি যা বলেন, তা তিনি করবেন। এ কারণে তাকে সমর্থন দেবেন। নৌকার প্রার্থী বলেন, দলমত-নির্বিশেষে সকলে পাশে এসে দাঁড়াচ্ছে। তারা সকল কিছুর ঊর্ধ্বে উঠে আমাকে সাড়া দিচ্ছে।

আমি জয়ের ব্যাপারে প্রত্যাশী। আশা করছি ১৬ জানুয়ারির নির্বাচনে আমি জয়ী হব। আইভী বলেন, আমি জনগণকে কখনও মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দেই নাই। প্রতিটি ওয়ার্ডে প্রচুর পরিমাণে কাজ হয়েছে বিগত সময়।

স্থানীয়রা তা জানে। এ কারণে তারা আমাকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করবেন। ২০১১ সালের প্রথম সিটি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগেরই নেতা শামীম ওসমানকে এক লাখ ভোটে হারিয়ে প্রথমবারের মতো মেয়র হন।

সেই নির্বাচনে বিএনপি সমর্থন দিয়েছিল এবারের তার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী তৈমূর আলম খন্দকারকে। তবে ভোটের আগে আগে তিনি সরে দাঁড়ান দলের সিদ্ধান্তে।

২০১৬ সালের দ্বিতীয় নির্বাচন হয় দলীয় প্রতীকে। সেবার তৈমূরের বদলে বিএনপি প্রতীক দেয় সাখাওয়াত হোসেন খানকে। তিনি আইভীর কাছে হারেন ৮০ হাজারের বেশি ভোটে।

দুটি নির্বাচনের কোনোটি নিয়েই তেমন কোনো অভিযোগ ছিল না। এমনকি ২০১৬ সালের নির্বাচনে দিনভর বিএনপির পক্ষ থেকে কোনো আপত্তিও তোলা হয়নি।

তৃতীয় নির্বাচনে এসে প্রথম নির্বাচনের সেই হাওয়া। বিএনপি আনুষ্ঠানিকভাবে ভোট বর্জন করলেও দলের নেতা-কর্মীরা সবাই স্বতন্ত্র প্রার্থী তৈমূরের পেছনে।

প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী তৈমূর সম্পর্কে মন্তব্য জানতে চাইলে নৌকার প্রার্থী বলেন, যে প্রার্থী সবুজায়নের কথা বলে জলাশয় বাড়াতে চায়, রাস্তা করতে চায়, তা দেখে সবাই বুঝতে পারেন উনি (তৈমূর) দ্বৈত কথা বলছেন, উনি কারও শেখানো কথা বলছেন।

উনি আসলে নারায়ণগঞ্জের বাস্তব উন্নয়নটা জানেন না এবং এখনও বুঝে উঠতে পারে নাই কোথায় কী কাজ হচ্ছে। তিনি বলেন, এবার আমি নির্বাচিত হলে সবুজ-শ্যামল নগর গড়ে তোলার পাশাপাশি নগরবাসীর বিশুদ্ধ খাবার পানির ব্যবস্থা করব। এ ছাড়া অন্য উন্নয়ন কাজগুলোও চলবে।