পররাষ্ট্রমন্ত্রী ‘অত্যন্ত চতুর’: গয়েশ্বর

Goyessor Ray

পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আবদুল মোমেনকে ‘অত্যন্ত চতুর’ বলে আখ্যায়িত করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।

বৃহস্পতিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে ‘দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও’ আন্দোলনের উদ্যোগে ‘ফেলানী এবং সীমান্ত’ শীর্ষক এক আলোচনাসভায় এ মন্তব্য করেন তিনি।

তিনি বলেন, আমাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অত্যন্ত চতুর। অনেক কথা বলেন। মানুষে বুঝে না। আর তার কথাবার্তায় কখনও কখনও মনে হয় তার চিন্তাভাবনা এবং মস্তিষ্কের ভারসাম্যতা কতটুকু আছে, ভারসাম্যহীন কিনা!

গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, গতকাল তার (পররাষ্ট্রমন্ত্রী) কিছু কথা শুনছিলাম, একাত্তর নামক টেলিভিশনে। তিনি আমেরিকাকে বলছেন— তাদের ওখানে অনেক হয়, এটি হয়, সেটি হয়। অর্থাৎ প্রতি বছর পুলিশ দ্বারা কিছু লোক নিখোঁজ ও উধাও হয়। এটি বাংলাদেশে যেমন ঘটে আমেরিকাতেও তেমন ঘটে।

আমি পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে বলব— আপনার এই উপলব্ধি থেকে যে অপরাধে আপনারা অপরাধী, সেই অপরাধে আপনি আমেরিকাকে অপরাধী করছেন। ভালো কথা। আমেরিকা তো আপনাদের সাতজনকে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। এর পর আর কতজনকে করবে, আমি জানি না।

তো মোমেন (পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আবদুল মোমেন) সাহেবকে জিজ্ঞাস করব— আপনি বাংলাদেশের পক্ষ থেকে আমেরিকাকে এ রকম নিষেধাজ্ঞা আরোপ করবেন কিনা? যারা সেখানে এ কর্মগুলো করেন। দেওয়া তো উচিত।

তিনি বলেন, আমেরিকায় এই হয়, সেই হয়। খারাপ কিছু হয়। যেটি আপনার (পররাষ্ট্রমন্ত্রী) দৃষ্টিতে খারাপ লাগে, যেটি আপনার দৃষ্টিতে খারাপ লাগে— আপনার দেশে সেই খারাপ কাজটা করার লাইসেন্সটা কে দিল? অন্যরা ১০টা খুন করছেন বলে আমি মাত্র একটি করছি।

এই কথা কোনো যুক্তিসংগত না। এটা একটা পাগলের প্রলাপ। অন্য অধম বলে আমাকে অধম হতে হবে, উত্তম হওয়া যাবে না। এটি কোন ডিকশনারি থেকে বর্তমান সরকারের মন্ত্রীরা শিক্ষা নিয়েছেন। এটি আমাদের জানার ব্যাপার।

প্রথানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে গয়েশ্বর বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে বিনা অপরাধে জেল দিয়েছেন। জামিন দেন নাই। চিকিৎসা দিচ্ছেন না।

যে দৃষ্টান্ত স্থাপন করছেন, অনুরূপভাবে আপনার বিপরীতে যারা আছেন- তারা যদি সেই পথ অনুসরণ করে তাহলে আপনার ভবিষ্যতটা কতটুকু ভয়াবহ হবে!

সেই কারণে বলবো, সোজা পথে আসেন- সহজ পথে চলেন। তাতে করে বরং আমাদের লাভ হবে। বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য আরও বলেন, ফেলানীকে কাঁটাতারের বেড়ায় ঝুলন্ত অবস্থায় মরতে হয়েছে। আজকে সব বিবেচনায় মনে হয়, বাংলাদেশটাও কাঁটাতারের বেড়ায় ঝুলে আছে।