সার্কুলার ইকোনমি মডেল অনুসরণ করতে হবে: শিল্পমন্ত্রী

এলডিসি গ্রাজুয়েশনের পর দেশের টেকসই উন্নয়নের ধারা চলমান রাখতে বাংলাদেশকে সার্কুলার ইকোনমি মডেল অনুসরণ করে কাজ করতে হবে বলে জানিয়েছেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন। এর জন্য যথাযথ কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন করা জরুরি বলেও জানান তিনি।

রোববার ১৬ জানুয়ারি ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বারস অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজ ভবন অডিটোরিয়ামে আয়োজিত ‘বাংলাদেশে সার্কুলার ইকোনমির বর্তমান অবস্থা: সমস্যা ও সমাধান’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

শিল্পমন্ত্রী বলেন, পৃথিবীর অন্যতম ঘনবসতিপূর্ণ দেশ হিসেবে আমাদের সার্কুলার ইকোনমির গুরুত্ব অনেক। বর্ধিত নগরায়নের সঙ্গে সুষ্ঠু বর্জ্য ব্যবস্থাপনা একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে পড়েছে। শিল্প বর্জ্য, মেডিক্যাল বর্জ্য, প্রাণীজ বর্জ্যসহ বিভিন্ন রাসায়নিক বর্জ্যে দুষিত হচ্ছে বায়ু, পানি, মাটি ইত্যাদি।

এর প্রভাব পড়ছে জীববৈচিত্র্যের ওপর। পড়ছে জলবায়ুর ওপর প্রতিকূল প্রভাব। জলবায়ু পরিবর্তনে বিভিন্ন প্রাণীর জটিল ও কঠিন রোগ দেখা দিচ্ছে। পরিবেশের ওপর জলবায়ুর প্রভাবের জন্য ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়া জনিত, খাদ্যাভাবজনিত রোগসহ নানা জটিল ও অপরিচিত রোগ দেখা দিচ্ছে।

তিনি বলেন, সম্প্রতি ফেলে দেওয়া ব্যাটারি, মুঠোফোন, কম্পিউটার, টেলিভিশনসহ ইলেকট্রনিক সরঞ্জাম (ই-বর্জ্য) থেকে পরিবেশ দূষণের ঝুঁকি মারাত্মকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।

সম্প্রতি দেখতে পেয়েছি ২০২০ সালের জাপান অলিম্পিকে ই-বর্জ্য ব্যবহার করে তৈরি করে অলিম্পিকের পদক। আমাদেরকেও ইলেক্ট্রনিক বর্জ্যের মধ্যে মূল্যবান ধাতু পুনরায় কাজে লাগানোর উদ্যোগ নিতে হবে।