আগামী নির্বাচনেও প্রহসনের খেলা হবে : জাফরুল্লাহ

jafor ullaha

নির্বাচন কমিশন গঠন আইন প্রণয়নের নামে সরকার যেটা করতে যাচ্ছে তা দেখে মনে হচ্ছে, আগামী নির্বাচনেও একটা প্রহসনের খেলা হবে। এমন মন্তব্য করেছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী।

তিনি বলেছেন, আগের দিন পর্যন্ত আইনমন্ত্রী বললেন, সময়ের অভাবে করা যাবে না। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী খেলা দেখায়া দিলেন, বাঁদর নাচ দেখায়া দিলেন।

পরদিন মন্ত্রিপরিষদে আইনের খসড়া পাস করিয়ে দেয়া হলো। এখনো তা জনগণকে জানানো হয়নি।

মঙ্গলবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘মাদকের ভয়াবহতা রোধে করণীয়’ শীর্ষক আলোচনাসভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।

অ্যান্টি ড্রাগ সোসাইটি আয়োজিত আলোচনাসভায় তিনি আরো বলেন, প্রস্তাবিত আইনেও সরকারি কর্মকর্তাদের সব ক্ষমতা দেওয়া হচ্ছে। সার্চ কমিটিতে জজ সাহেবদের রাখার বিষয়ে বলা হয়েছে।

যারা নিজেরাই ফাঁকিবাজ। তাদের কয়জন ধূমপান করেন, সেই হিসাব নিতে হবে। তিনি বলেন, সরকার ডোপ টেস্টে অনেক উৎসাহী। কিন্তু কতজনকে ডোপ টেস্ট করাবেন।

সবগুলোতে সরকারের ভুল নীতি। সরকার তো জনগণের প্রতিনিধি না। সরকার তো নির্বাচিত সরকার না। সরকার হলো ডাকাতির সরকার।

আমলাতন্ত্রের আধিপত্য নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে ডা. জাফরুল্লাহ বলেন, মাদকাসক্তির দায়িত্ব দেওয়া হয় এমন ব্যক্তিদের, যারা আগে এসব জায়গায় কাজ করেনি।

সাইকিয়াট্রি, সাইকোলজি কিংবা ডাক্তারি- কোনো জ্ঞান নেই। ওনাদের একমাত্র কোয়ালিফিকেশন আমলা। ঠিক একইভাবে যে নির্বাচন কমিশন হবে, সেখানেও আমলার প্রাধান্য।

আপনারা যদি খেয়াল করে থাকেন, ডিসি সাহেবরা ২৬৬টা দাবি করেছিলেন, তাদেরকে সব ক্ষমতা দেওয়া হোক। জনগণের মতামত দরকার নেই, তাদেরকেই ক্ষমতা দেয়া হোক।

মাদকের বিষয়ে জিরো টলারেন্স শুধু লোক দেখানো মন্তব্য করে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা বলেন, সকারের মাদকের বিষয়ে জিরো টলারেন্স শুধু প্রচারের জন্য। তুমি যা পারো করতে থাকো।

আমি লুট করেছি রাতের বেলায় ভোট, তুমি লুট করো মাদক। তিনি আরো বলেন, এই মাদকাসক্তির বিস্তার ঘটার জন্য সরকার দায়ী। তার চিকিৎসা না হওয়ার জন্যও সরকার দায়ী।

আজকে অনৈতিকতা ও বিশৃঙ্খলার জন্য সরকার দায়ী। আমলাদের হাতে দেশ চলতে পারে না। জনপ্রতিনিধি দের হাতে দেশ চলবে।

জনপ্রতিনিধিদের মাদক নির্মূলের দায়িত্ব নিতে হবে। সিগারেট বন্ধ করে মাদক নির্মূলের অভিযান শুরু করার আহ্বান জানান তিনি।