সবকিছুতে না বলার বাতিকের প্রমাণ দিচ্ছে বিএনপি: তথ্যমন্ত্রী

hasan mahmud
ফাইল ছবি

মন্ত্রিসভায় অনুমোদিত নির্বাচন কমিশন গঠনের আইনের খসড়া না পড়েই বিএনপি নেতাদের নানা মন্তব্য তাদের রাজনীতির অন্তঃসারশূন্যতা এবং সবকিছুতে না বলার বাতিকের প্রমাণ দিচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য-সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

বুধবার দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন। নির্বাচন কমিশন গঠনে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের আহ্বানে সংলাপে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল আইন প্রণয়ণের প্রস্তাবনা দিয়েছেন।

তার পরিপ্রেক্ষিতে সরকার নির্বাচন কমিশন গঠনের লক্ষ্যে আইন প্রস্তুত করার জন্য খসড়া মন্ত্রিসভায় পাঠিয়েছে। মন্ত্রিসভা সেই আইনের খসড়া অনুমোদন করেছে।

হাছান মাহমুদ বলেন, সরকারের এই ভালো উদ্যোগকেও প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য গতকাল বিএনপির পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে এবং সেখানে তাদের বক্তব্যে মনে হয়েছে নজরুল ইসলাম খান সাহেব আইনের খসড়াটি পড়েন নাই।

তাদের দলের যে নেতারা সংবাদ সম্মেলনের বক্তব্যটি তৈরি করে দিয়েছেন, তারাও পড়েন নাই। বিএনপির সমালোচনার জবাবে তিনি বলেন, না পড়েই নজরুল ইসলাম খান সাহেব নানা মন্তব্য করেছেন যে, এখানে কোনো বেসরকারি লোক বা কোনো আইনজ্ঞকে নিয়োগের সুযোগ রাখা হয় নাই।

অথচ আইনের খসড়ায় স্পষ্ট বলা আছে, কোনো ব্যক্তি যিনি ২০ বছর ধরে সরকারি কিংবা বিচার বিভাগীয় পদে বা আধা-সরকারি কিংবা বেসরকারি পদে কাজ করেছেন তাকে নির্বাচন কমিশনার হিসেবে নিয়োগ দেয়া যাবে। বেসরকারি যখন বলা হয় সেখানে আইনজ্ঞ, বিশেষজ্ঞ সবাই অন্তর্ভুক্ত।

বিএনপির সংবাদ সম্মেলনে আবার নজরুল ইসলাম খান সাহেব বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের মাধ্যমে গঠিত নির্বাচন কমিশনের অধীনে তারা কোনো নির্বাচনে যাবেন না।

এর জবাবে হাছান মাহমুদ বলেন, নির্বাচন যেভাবেই হোক তারা নির্বাচনে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে বসে আছেন। কেউ যখন নির্বাচনে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে বসে থাকে তখন যে কোনো ভালো উদ্যোগকে প্রশ্নবিদ্ধ করাই তাদের উদ্দেশ্য হয়ে থাকে।

সরকার একটি ভালো উদ্যোগ নিয়েছে যেটি দেশের মানুষ অভিনন্দন জানিয়েছে। আইনজ্ঞ এবং সুশীল সমাজের নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিবর্গ আইন করার উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন।

কিন্তু বিএনপির সবকিছুতেই যে না বলার বাতিক, সেখান থেকে বেরিয়ে আসতে পারেনি, যেটি অত্যন্ত দুঃখ জনক। বিএনপি বিদেশে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করতে ‘অবৈধ অর্থ’ বিনিয়োগ করে লবিস্ট নিয়োগ করেছে বলে মন্তব্য করেন তথ্যমন্ত্রী।