লেটার অব ইনটেন্ডের শর্ত পূরণে ব্যর্থ হওয়ায় পিপলস ব্যাংকের আবেদন বাতিল করেছে বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় ব্যাংক। বৃহস্পতিবার (২০ জানুয়ারি) বাংলাদেশ ব্যাংকের এক সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
আবেদন বাতিল হওয়া সম্পর্কে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, প্রস্তাবিত ব্যাংকটির এলওআইয়ের মেয়াদ ২০২১ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত ছিল।
নির্ধারিত সময়ে যেহেতু তারা শর্ত পূরণ করতে পারেনি তাই তাদের সময় বাড়ানোর আবেদন বাতিল করা হয়েছে। এর আগে পিপলস ব্যাংকের প্রধান উদ্যোক্তা এমএ কাশেম একটি জাতীয় পত্রিকায় দেয়া সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন, পিপলস ব্যাংকের মালিকানায় সাকিব আল হাসান ও তার মা যুক্ত হচ্ছেন।
এর মধ্যে আমরা তাদের ফাইল বাংলাদেশ ব্যাংকে জমা দিয়েছি। সাকিবের মতো একজন তারকাকে উদ্যোক্তা হিসেবে পাওয়া আমাদের জন্য গৌরবের। এখনই আমরা এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু বলতে চাই না।
পিপলস ব্যাংকের লাইসেন্সের জন্য প্রয়োজনীয় মূলধন আমরা সংগ্রহ করতে পেরেছি। আশা করছি ডিসেম্বরের মধ্যেই বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছ থেকে আমরা চূড়ান্ত লাইসেন্স পাব।
বাংলাদেশ ব্যাংক প্রতিটি ব্যাংকের মূলধন ৫০০ কোটি টাকায় উন্নীত করার নির্দেশনা দিয়েছে। কেউ যদি উদ্যোক্তা হিসেবে পরিচালনা পর্ষদে জায়গা করে নিতে চান সর্বনিম্ন দুই শতাংশ শেয়ারের মালিক হতে হবে।
এক্ষেত্রে সাকিব আল হাসানকে পিপলস ব্যাংকের প্রতিটি পরিচালক পদের জন্য সর্বনিম্ন ১০ কোটি টাকা মূলধন জোগান দিতে হতো। রেস্টুরেন্ট ব্যবসা দিয়ে ব্যবসায় হাতেখড়ি হয় সাকিব আল হাসানের।
এরপর এ খাতে তিনি আর থেমে থাকেননি। স্বর্ণ আমদানি ও বিপণন, শেয়ারবাজার, বিদ্যুৎকেন্দ্র, প্রসাধনী, ট্রাভেল এজেন্সি, হোটেল, ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট, কাঁকড়া ও কুঁচের খামারসহ বিভিন্ন ব্যবসায় বিনিয়োগ করেছেন তিনি। কেবল দেশে নয় দেশের বাইরেও বড় বড় বিনিয়োগ রয়েছে সাকিব আল হাসানের।
এ ছাড়াও দেশের শেয়ারবাজারে সাকিব আল হাসান একটি আলোচিত নাম। পুঁজিবাজারের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) শুভেচ্ছাদূত হিসেবে কাজ করছেন তিনি। চলতি বছরে মে মাসে একটি ব্রোকারেজ হাউসের অনুমোদন নিয়েছেন সাকিব আল হাসান।