কিউকমের ২০ গ্রাহক আটকে থাকা টাকা ফেরত পেলেন

ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান কিউকমের যেসব ক্রেতা আগাম টাকা পরিশোধ করে পণ্য পাননি, তাদের পাওনা অর্থ দেওয়া শুরু হয়েছে। এরই অংশ হিসেবে প্রথম ধাপে ২০ জন গ্রাহকের অর্থ ফেরত দেয়া হয়েছে।

ছয় হাজার ৭২১ জন গ্রাহকের ক্রয়াদেশের বিপরীতে ৫৯ কোটি টাকা ফেরতের সম্মতি পাওয়ায় তাদের অর্থ ফেরত দেওয়া হচ্ছে।

সোমবার (২৪ জানুয়ারি) দুপুরে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে কিউকমের এই গ্রাহকদের অর্থ ফেরত দিয়ে কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়।

এসময় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ বলেন, ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান কিউকমের গ্রাহকদের পাওনা অর্থ ধাপে ধাপে ফেরত দেয়া হবে।

প্রথম ধাপে ২০ জন গ্রাহক ৪০ লাখ ২ হাজার ৪১৩ টাকা ফেরত পেয়েছেন। এর মধ্যদিয়ে ভোক্তাদের অর্থ ফেরতের কার্যক্রম উদ্বোধন করলাম।

তিনি বলেন, আমরা কয়েকটি মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বসে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম যে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলোর একটি ইউনিক আইডি নম্বর থাকবে এবং রেজিস্ট্রেশন করতে হবে।

এই কাজটি প্রায় শেষের দিকে। ১৫ দিনের মধ্যে আশা করছি এটা শুরু করতে পারবো। তিনি বলেন, সবচেয়ে প্রয়োজনীয় বিষয় ছিল ভোক্তারা যে টাকা ফেরত পাননি বা পণ্য বুঝে পাননি সে অর্থ তারা ফেরত চাচ্ছিলেন, কিন্তু যেগুলোর বিরুদ্ধে মামলা ছিল সে বিষয়ে আইন মন্ত্রণালয়ের মতামত চেয়েছি।

তারা মতামত দিয়েছিল যে সমস্ত প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মামলা আছে এবং মালিক জেলে আছেন তাদের টাকাটা ফেরত দেওয়া যাবে না। সেক্ষেত্রে যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকলেও মামলা নেই তাদের মধ্যে একটি কিউকম।

তিনি আরও বলেন, ফস্টার পেমেন্টের মাধ্যমে টাকা দেওয়ার বিষয় ছিল, তবে ফস্টারের বিরুদ্ধে সিআইডির অভিযোগ ছিল, সেজন্য এনওসি নিয়ে এসেছি। বাংলাদেশ ব্যাংকও এটি নিয়ে কাজ করেছে।

আপাতত ৫৯ কোটি টাকার বিষয় নিয়ে কাজ করা হয়েছে, যেখানে ৬ হাজার ৭২১ জনের লেনদেনের বিষয় রয়েছে। এসব ক্রেতা পণ্য পাননি। তাদের ৫৯ কোটি টাকা ফেরত দেওয়ার ব্যবস্থা করেছি।

আজ ২০ জনের অর্থ ফেরত দেওয়া হলো। অন্যদের টাকাও ফেরত দেয়া হবে। এর আগে, যেসব ক্রেতা আগাম টাকা পরিশোধ করেও পণ্য পাননি, তার একটি পূর্ণাঙ্গ তালিকা গত ১০ জানুয়ারির মধ্যে মন্ত্রণালয়ের কাছে জমা দিতে কিউকম ও ফস্টারকে নির্দেশ দেয়া হয়েছিল।

ওই তালিকা অনুয়াযী পর্যায়ক্রমে অর্থ ফেরত দেওয়ার হবে। ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে যাত্রা শুরু করে কিউকম ডট কম। ইভ্যালির মতো তারাও বিশাল ছাড়ে বাজারমূল্যের চেয়ে কম দামে পণ্য বিক্রি করে আসছিল।

কিউকম ‘বিজয় আওয়ার’, ‘স্বাধীনতা আওয়ার’, ‘বিগ বিলিয়ন’ নামে বিভিন্ন অফারে কমদামে মোটরসাইকেল বিক্রির বিজ্ঞাপন দিত। অগ্রিম টাকা নিয়ে ২ থেকে ১৫ দিনের মধ্যে গ্রাহককে পণ্য বুঝিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতিও দিত প্রতিষ্ঠানটি।