ঝিনাইদহের শৈলকূপা উপজেলাতে ২১ জানুয়ারি ২০২২ তারিখ রাত ৯টায় সারুটিয়া তালতলা বাজারে যাওয়ার কথা বলে মেহেদী হাসান স্বপন নিজ বাড়ি থেকে বের হয়ে সারুটিয়া তালতলা ব্রীজের দক্ষিনে জাফর এর চায়ের দোকানের পূর্ব পাশে পৌছলে পারিবারিক সামাজিক
ও জমিজমা সংক্রান্তে দ্বন্দ্ব থাকায় মেহেদী হাসান স্বপনের চাচাতো ভাই আসামি মোঃ আসাদ আলী(২৫)সহ অন্যান্য আসামিদের সহযোগীতায় পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে দেশীয় ও অস্ত্রসস্ত্রে সজ্জিত হয়ে মেহেদী হাসান স্বপনকে গুরুতর জখম করে।
পরবর্তীতে ভিকটিমকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হলে কর্তব্যরত চিকিসক তাকে মৃত ঘোষনা করে।
এ বিষয়ে শৈলকূপা থানায় মামলা হলে ঝিনাইদহ র্যাব-৬ ছায়া তদন্ত ও গোয়েন্দ তৎপরতা শুরু করে এবং তদন্ত অনুযায়ী মৃত মেহেদী হাসান স্বপনের হত্যা মামলার আসামিদের মধ্যে অন্যতম প্রধান আসামি ও হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী মোঃ আসাদ আলীকে চিহ্নিত করে।
এরই ধারাবাহিকতায় রবিবার র্যাব-৬ (ঝিনাইদহ ক্যাম্প) এর একটি চৌকস আভিযানিক দল গোপন সংবাদের মাধ্যমে জানতে পারে যে, ঝিনাইদহ জেলার শৈলকূপা থানার উক্ত চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলার অন্যতম প্রধান আসমি ঝিনাইদহ জেলার শৈলকূপা উপজেলাধীন সারুটিয়া এলাকায় অবস্থান করছে।
প্রাপ্ত সংবাদের সত্যতা যাচাই ও আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের লক্ষ্যে আভিযানিক দলটি একই তারিখ ৫টার সময় উক্ত স্থানে অভিযান পরিচালনা করে উপজেলার সারুটিয়া গ্রামের পান্নু মুন্সীর পুত্র হত্যা মামলার প্রধান আসামি আসাদ আলীকে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারকৃত আসামিকে ঝিনাইদহ জেলার শৈলকূপা থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।