পরীমনির স্বামী রাজ মরে নাই, জানালেন নিজেই

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পাওয়া যাচ্ছে না আলোচিত অভিনেত্রী পরীমনির স্বামী নায়ক শরিফুল রাজকে। গত ১৫ ফেব্রুয়ারিই পর পরীকে শুভেচ্ছা জানিয়ে আর কোনো পোস্ট দেননি তিনি।

ফেসবুক জানাচ্ছে, পরীমনির স্বামী রাজ আর বেঁচে নেই! ঝুলিয়ে দেয়া হয়েছে ‘রিমেম্বারিং’ নোটিশ! সাধারণত কেউ মারা গেলে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ তার অ্যাকাউন্টটি রিমেম্বারিং করে দেয়।

এ প্রসঙ্গে সংবাদমাধ্যমকে রাজ বলেন, বিভ্রান্ত হবেন না। আমি বেঁচে আছি এবং ভালো আছি। কেউ বিষয়টি জানিয়ে রিপোর্ট করেছে। বিষয়টি খুবই দুঃখজনক।

একই সমস্যায় আছেন চিত্রনায়ক জায়েদ খানও। বারবার তার আইডিকে ‘মৃত’ ঘোষণা করছে ফেসবুক। সবশেষ ২১ ফেব্রুয়ারিও তার আইডিটিকে রিমেম্বারিং করে দেয়া হয়। যার মানে হচ্ছে, জায়েদ খান আর বেঁচে নেই। তাই তার আইডিটিকে স্মরণীয় করে দিয়েছে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ।

এ নিয়ে তিনবার একই ঘটনা ঘটল এ চিত্রনায়কের সঙ্গে। এরআগে গত ১০ ফেব্রুয়ারি ও ২১ জানুয়ারিও জায়েদ খানের আইডি রিমেম্বারিং করে দেওয়া হয়। শুধু জায়েদ খান নয়, সম্প্রতি মিশা সওদাগর,

অভিনেতা জিয়াউল হক পলাশসহ দেশ ও বিদেশের অনেক তারকাই পড়েছেন একই সমস্যায়। কেন বারবার এমনটা হচ্ছে বা কী কারণে আইডি রিমেম্বারিং করে দেওয়া হয় সে প্রশ্ন ছিল প্রযুক্তিবিদ তানভীর হাসান জোহার কাছে।

তিনি বলেন, এটাকে মূলত স্প্যামিং বলা হয়। ভুয়া রিপোর্ট করে এ কাজটি করা হয়। ফেসবুকের সেটিংসে মেমোরাইজেশন নামে একটি অপশন আছে। সেখানে চাইলে একজনকে আপনি নির্বাচিত করে দিতে পারেন এই অধিকারের জন্য।

কিন্তু আমরা সে কাজটা করি না। যার কারণে আমাদের ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে। সেখানে কাউকে নির্বাচিত করা না থাকলে বাইরে থেকে রিপোর্ট করে আইডি রিমেম্বারিং করে দেওয়া যায়।

প্রায়ই জীবিত ব্যক্তিকে ‘মৃত’ ঘোষণা করছে ফেসবুক। ফলে বিব্রত হতে হচ্ছে এর ব্যবহারকারীদের। আর ঘনঘন এ সমস্যায় পড়ে অনেক তারকাও এখন হচ্ছেন ট্রলের স্বীকার। নিজের আইডিকে রিমেম্বারিং মুক্ত রাখতে কী করণীয় সে পরামর্শও দিলেন তানভীর জোহা।

তিনি বলেন, এই বিড়ম্বনা থেকে রক্ষা পেতে হলে অবশ্যই কোনো একজকে নির্বাচিত করে দিয়ে রাখতে হবে আইডি রিমেম্বারিং করার জন্য। অথবা চাইলে গুগল থেকেও এটা দেখে নেয়া যেতে পারে। জায়েদ খানসহ আরো অনেকেরই আইডি সম্প্রতি রিমেম্বারিং হয়ে যাচ্ছে।

তার জন্য আমার পরামর্শ থাকবে উনি যদি একবার উনার আইডির মেমোরাইজেশনের জন্য একজন বিশ্বস্ত ব্যক্তিকে নির্বাচন করে দেন, তাহলে কেউ আর উনার আইডি রিপোর্ট করে রিমেম্বারিং করে দিতে পারবে না।

ফেসবুক ব্যবহারে নানা অসতর্কতার কারণে বিপত্তি ঘটতে পারে যে কারো সাথেই। যে কোনো হ্যারাসমেন্ট এবং সাইবার অপরাধের শিকার হলে নিকটস্থ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাহায্য নেয়ার পরামর্শও দিচ্ছেন প্রযুক্তিবিদরা।