পুলিশকে জনগণের বন্ধু হয়ে কাজ করতে হবে

Abdul Hamid
ফাইল ছবি

পুলিশি সেবার মান আরো উন্নত করতে পুলিশকে জনগণের বন্ধু হয়ে কাজ করার আহবান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।

রাষ্ট্রপতি বলেন, পুলিশের সর্ববৃহৎ ইউনিট ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে এই ইউনিটের সদস্যরা আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা ও জনগণের জান-মালের নিরাপত্তা বিধানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে।

রাষ্ট্রপতি ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ৪৭তম প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে এক বাণীতে এ কথা বলেন। আবদুল হামিদ বলেন, গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখার পাশাপাশি মানুষের মৌলিক অধিকার সমুন্নত রাখতে এবং পুলিশি সেবার মান আরো উন্নত করতে পুলিশকে জনগণের বন্ধু হয়ে কাজ করতে হবে।

আজ ২৬ ফেব্রুয়ারি ‘ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ৪৭তম প্রতিষ্ঠা দিবস’ পালিত হচ্ছে জেনে তিনি সন্তোষ প্রকাশ করেন।

রাষ্ট্রপতি এ উপলক্ষে ডিএমপির সকল সদস্যকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, বর্তমান বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে অপরাধের কৌশল ও ধরনের পরিবর্তন ঘটেছে।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও বিভিন্ন ধরনের অ্যাপস ব্যবহার করে অপরাধীরা সাইবার জগতে নানা অপরাধ করছে, যা প্রতিরোধ করা পুলিশের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ।

আবদুল হামিদ বলেন, এ ধরনের অপরাধ মোকাবিলায় পুলিশকে প্রযুক্তিগত প্রয়োজনীয় দক্ষতা অর্জন করতে হবে। এর পাশাপাশি কিশোর গ্যাং নিয়ন্ত্রণ, মাদক প্রতিরোধ,

সুষ্ঠু ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা এবং নারী ও শিশুবান্ধব পুলিশি সেবার মাধ্যমে নগরবাসীর আস্থা ও ভালোবাসা অর্জনে ডিএমপি আরো কার্যকর ও জোরালো উদ্যোগ গ্রহণ করবে বলেও তিনি প্রত্যাশা করেন।

ডিএমপির প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে দেয়া বাণীতে রাষ্ট্রপতি বলেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আহ্বানে সাড়া দিয়ে ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালরাতে বাংলাদেশ পুলিশের অকুতোভয় সদস্যরা প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধ যুদ্ধের সূচনা করেন।

মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশ পুলিশের ১ হাজার ২শ’ ৬২ জন সদস্য জীবন উৎসর্গ করেছেন। শুধু মহান মুক্তিযুদ্ধেই নয়, দেশের প্রয়োজনে ও বিভিন্ন সংকটে জীবন উৎসর্গ করতে কুণ্ঠাবোধ করেননি বাংলাদেশ পুলিশের বীর সদস্যরা।

তিনি মহান মুক্তিযুদ্ধসহ বিভিন্ন সময়ে দেশের নিরাপত্তা ও শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষায় আত্মোৎসর্গকারী পুলিশের বীর সদস্যদের গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ এবং ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের উত্তরোত্তর সাফল্য কামনা করেন।