প্রেমিকাকে হত্যা করে প্রেমিকের আত্মহত্যা

body

চট্টগ্রামের রাউজানে একটি ঘর থেকে এক কলেজছাত্রী ও এক যুবকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। স্থানীয় লোকজন ও পুলিশ জানিয়েছে, মৃত দুজনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল।

আগামী ১০ মার্চ এক প্রবাসীর সঙ্গে কলেজছাত্রীর বিয়ের দিন ছিল। এ খবরে যুবক গতকাল রবিবার রাতে তাঁকে (ছাত্রী) হত্যা করে ফাঁসিতে ঝুলে আত্মহত্যা করেন।

পাহাড়তলী ইউনিয়নের মহামুনি গ্রামের ভগবান দারোগা বাড়ির সুব্রত মুত্সুদ্দির বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। মৃত দুজন হলেন মহামুনি গ্রামের উদয়ন চৌধুরীর বাড়ির রণজিৎ চৌধুরী বাবলুর মেয়ে অন্বেষা চৌধুরী আশামনি (১৯) ও একই গ্রামের নিলেন্দু বড়ুয়া নিলুর ছেলে চা দোকানদার জয় মুত্সুদ্দি (২৬)।

আশামনি নোয়াপাড়া কলেজের ডিগ্রি দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী ছিলেন। জয় চায়ের দোকান করতেন। ১ মার্চ একটি চাকরিতে যোগদানের কথা ছিল তাঁর।

রাউজান থানার ওসি আবদুল্লাহ আল হারুন ঘটনাস্থল থেকে বলেন, লাশ ময়নাতদন্তের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। ঘটনার রহস্য উদঘাটনে পুলিশ কাজ করছে।

রাউজান-রাঙ্গুনিয়া সার্কেলের এএসপি আনোয়ার হোসেন, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, প্রতিবেশীসহ অনেকে জানান, আশামনি গতকাল সন্ধ্যায় শেখপাড়ায় এক বাড়িতে প্রাইভেট টিউশনি শেষ করে বাড়ি ফিরছিলেন।

পথে দেখা হয় জয়ের সঙ্গে। জয় তাঁকে পাশে কাকার ঘরে (সেখানে রাতে ঘুমান জয়) নিয়ে দরজা বন্ধ করে দেন। এদিকে রাতেও ঘরে না ফেরায় দুজনকে খুঁজতে থাকে তাঁদের পরিবার।

রাত ৮টার দিকে জয়ের বোন জুহি মুত্সুদ্দি ঘরটির দরজায় টোকা দেন। কোনো সাড়া না পেয়ে পাড়ার লোক জন ও জয়ের বন্ধুদের ডাকেন জুহি। জুহিসহ বন্ধু ও প্রতিবেশীরা দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে দেখেন,

সিলিং ফ্যানের সঙ্গে শার্ট দিয়ে ঝোলানো রয়েছে জয়ের মৃতদেহ। আর নিচে মাটিতে পড়ে আছে আশামনির মৃতদেহ। তাঁর গলায় ছিল ছুরি ও কাপড়ের ফাঁস। পরে জুহি শার্ট কেটে ভাইয়ের লাশ নিচে নামান।

পাহাড়তলী ইউপির চেয়ারম্যান রোকন উদ্দিন ও সদস্য মো. সালাউদ্দিনসহ অনেকে বলেন, আশামনির বিয়ে ঠিক হওয়ার খবরে ক্ষুব্ধ হয়ে তাঁকে হত্যা করে আত্মহত্যা করেছেন জয়। সূত্র: কালের কণ্ঠ।