যশোরে চাঁদাবাজির অভিযোগে মামলা, আটক ২

যশোর শহরের ঘোপ জেলরোড কুইন্স হাসপাতালের সামনে তুহিন নামে এক প্রাইভেটকার চালককে মারপিট করে চাঁদা আদায় ও চাঁদাদাবির অভিযোগে কোতয়ালি থানায় মামলা হয়েছে।

পুলিশ মহারাজ ও উজ্জল নামে দুই চাঁদাবাজকে আটক করে। প্রাইভেটকার চালক সদরের ভেকুটিয়া শেখ পাড়ার হায়দার আলীর ছেলে তুহিন (২৮) এঘটনায় নিজে শনিবার (১২ মার্চ) সকালে মামলা করেন।

মামলায় ১০ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত নামা ২/৩ জনকে আসামি করা হয়। আসামিরা হচ্ছে শহরের খালধার রোড বরফকল এলাকার পিতা অজ্ঞাত সুমন (২৬) কাজিপাড়া কাঠালতলার পিতা অজ্ঞাত মোছাঃ শিলা (১৯) ঘোপ বুড়ির বাগানের জাহাঙ্গীরের ছেলে রাসেল (২৬)

ঘোপ সেন্ট্রাল রোডের আলমগীরের ছেলে রেজওয়ান (১৯) একই এলাকার মৃত হারুনের ছেলে ট্রাফিক অফিসের সামনে চায়ের দোকান লিটনের ভাই মহারাজ (২৮)

জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি শহীদুল ইসলাম মিলনের বাড়ির সামনে মোহম্মদের বাড়ির ভাড়াটিয়া পিতা অজ্ঞাত উজ্জল (৩০) ঘোপ জেলরোড বেলতলার পাচুর ছেলে রানা (২০) ঘোপ জেলরোড বউ বাজারের পিতা অজ্ঞাত আকাশ (২১), আরিফ (২২) ও নীলগঞ্জের পিতা অজ্ঞাত রিপন (২৩)।

মামলায় বলা হয়েছে, বেজপাড়া দরবেশ বাড়ির একটি প্রাইভেটকার চালায় তুহিন। এক নং আসামি সুমন, তুহিনের পূর্বপরিচিত ও বন্ধুর মতো। রাস্তাঘাটে সুমনের সাথে দেখা হলে তুহিনের কথাবার্তা হয়। তুহিনের
মোবাইল নাম্বারও সুমনের কাছে রয়েছে।

১০ মার্চ বৃহস্পতিবার রাত আনুমানিক সাড়ে ৮ টায় তুহিন বেজপাড়ায় অবস্থান করছিলো। এ সময় সুমন মোবাইল করে তুহিনকে দ্রুত কুইন্স হাসপাতালের সামনে আসতে বলে।

বাদি তুহিন, সুমনের কথা মতো রাত পৌনে ৯ টায় কুইন্স হাসপাতালে সামনে পৌছুলে সুমন ও তার সহযোগী অন্যান্য আসামীরা সেখানে আসে। বাদির তুহিনের সাথে কথা বার্তা বলে।

কথা বার্তার এক পর্যায় সুমন বাদি তুহিনকে তাদের সাথে কুইন্স হাসাপাতালের দক্ষিণ পাশের্^ জনৈক পলাশের কাঠগোলার মধ্যে যাওয়ার জন্য বলে।

তাদের কথা বার্তা সন্দেহ হলে বাদি তুহিন তাদের সাথে যেতে অস্বীকার করে। এ সময় সুমনসহ সহযোগীরা জোরপূর্বক তুহিনকে কাঠগোলার মধ্যে নিয়ে অবৈধ ভাবে আটক রাখে।

তারা বাদিকে অস্ত্রের ভয়ভীতি দেখিয়ে ১লাখ টাকা চাঁদাদাবি করে। চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে বাদি তুহিনকে এলোপাতাড়ী ভাবে মারপিট করে পকেটে থাকা বেতনের নগদ ৩০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়।

এরপর বাকী চাঁদার ৭০ হাজার টাকা দাবি করে বাদিকে মারপিট করে পরনের গেঞ্জী খুলে ফেলে। সহযোগী আসামী মোছাঃ শিলার সাথে মোবাইল দিয়ে ঘনিষ্ট ভাবে ছবি তোলে।

আসামীরা বাদিকে জানায় তাদেরকে বাকী ৭০ হাজার টাকা না দিলে সহযোগী আসামী শিলাকে দিয়ে থানায় বাদির বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করবে। বাদি প্রাণ ভয়ে তার শ্যালক চাঁচড়ার সেলিম হোসেনের ছেলে সবুজকে ফোন করে বাদির মোবাইল নাম্বারে আসামীদের দাবীকৃত টাকা পাঠাতে বলে।

সবুজ বাদির নাম্বারে তৎক্ষনিক ২০ হাজার টাকা পাঠিয়ে দেয়। আসামীর এক পর্যায় বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ১২ টায় বাদিকে প্রাণ নাশের হুমকী দিয়ে চিৎকার করতে নিষেধ করে একটি রিক্সায় উঠিয়ে মণিহার সিণেমা হলের
সামনে নিয়ে যায়। বাদি তুহিনকে রিক্সা থেকে নামিয়ে দিয়ে দ্রুত চলে যায়।

বাদি তুহিন স্থানীয় ভাবে প্রাথমিক চিকিৎসা গ্রহন করে। পরবর্তীতে থানায় অভিযোগ দায়ের করলে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কোতয়ালি থানার দারোগা এস আই খান মাইদুল ইমলাম রাজিব শনিবার সকালে শহরের দড়াটানা থেকে এজাহার ভুক্ত আসামি মহারাজ ও সন্ধ্যায় কুইন্স হাসপাতালের সামনে থেকে উজ্জলকে আটক করে। আটককৃতদের শনিবার আদালতে সোপর্দ করা হয়।