অস্ত্র পাঠানোর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই তা ব্যবহার হচ্ছে: জেলেনস্কি

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি লন্ডনে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন এবং সামরিক জোট ন্যাটো নেতাদের সঙ্গে কথা বলেছেন।

এ সময় তিনি জানান, তার দেশের মানুষ ন্যাটো জোটের চেয়ে আন্তর্জাতিক সহযোগীদের পাঠানো সহায়তার উপর নির্ভর করছে। তিনি বলেন, ইউক্রেন অবশ্যই ন্যাটো সদস্য নয়,

আমরা বুঝতে পারি সেটা। আমরা অনেক বছর ধরেই শুনছি ন্যাটোর দরজা খোলা আছে। কিন্তু আমরা এটাও শুনেছি যে ওই দরজা দিয়ে আমরা ঢুকতে পারবো না।

এ সময় তিনি বলেন, রাশিয়ার সঙ্গে সীমান্ত আছে এমন দেশগুলোকে ন্যাটোর বাইরে নিজেদের ‘স্বাধীন প্রতিরক্ষা সক্ষমতার’ বিষয়টি ভাবা উচিত।

তিনি বলেন, যুক্তরাজ্য এবং অন্যান্য জাতির সরবরাহ করা চালান আমরা খুব দ্রুতই ব্যবহার করছি। প্রতি সপ্তাহে যে পরিমাণ অস্ত্র সাহায্য পাই তা সাধারণত ২০ ঘণ্টার মধ্যেই ব্যবহার করা হচ্ছে।

ফলে রাশিয়া সৈন্যদের থেকে জব্দ সরঞ্জাম এবং সোভিয়েত যুগের সরঞ্জামই কাজে লাগানো হচ্ছে। এ সময় তিনি রাশিয়ার ওপর পশ্চিমাদের নিষেধাজ্ঞাকে স্বাগত জানান।

তবে রুশ আগ্রাসন ঠেকাতে ওই নিষেধাজ্ঞা যথেষ্ট নয় মন্তব্য করে রাশিয়ার ওপর সম্পূর্ণ বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা দিতে আহ্বান জানান। এ ছাড়া যেসব ব্যববাস প্রতিষ্ঠান এখনো রাশিয়ার সঙ্গে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে তাদের সমালোচনা করেন তিনি।

জেলেনস্কি বলেন, বিশ্বের সবগুলো বন্দরে রাশিয়ান নৌযান নিষিদ্ধ এবং সুইফ ফিন্যান্সিয়াল মেসেজিং সিস্টেম থেকে রুশ সব ব্যাংককে বাদ দেওয়া উচিত।

ইউক্রেনে রাশিয়ার অভিযানের ২০ তম দিন চলছে। এর আগে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের নির্দেশের পর ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরু করে রাশিয়ান সেনারা। এ অভিযানের অংশ হিসেবে স্থল, আকাশ ও জলপথে ইউক্রেনে হামলা চালানো হচ্ছে।

অভিযান শুরুর পর ইউক্রেনের সেনাবাহিনীও প্রতিরোধের চেষ্টা চালাচ্ছে। এতে দুই পক্ষের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘাত চলছে। এ ছাড়া ইউক্রেনে হামলার প্রতিক্রিয়ায় পাশ্চাত্যের বেশ কয়েকটি দেশ মস্কোর ওপর নানা ধরনের নিষেধাজ্ঞা দিচ্ছে।