পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে গত ৮ মার্চ দেশটির পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিতে অনাস্থা প্রস্তাব জমা দেয় বিরোধী দলগুলো।
এরি মধ্যে দেশটির সরকারের কিছু মন্ত্রী জানিয়েছেন, আগামী ২৮-৩০ মার্চ তারা অনাস্থা প্রস্তাবে ভোট দিতে পারেন। এ নিয়ে নিউইয়র্ক-ভিত্তিক আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ জানিয়েছে, পাকিস্তানে সহিংসতা ছড়িয়ে পরতে পারে।
বুধবার ১৬ মার্চ এইচআরডব্লিউ এক বিবৃতিতে বলেছেন, পাকিস্তানের গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলো নতুন হুমকির মুখে। একইসঙ্গে এই সংস্থা দেশটির সরকার ও বিরোধী দলকে ‘সহিংসতা থেকে সমর্থকদের নিবৃত্ত করতে আহ্বান জানান।
এইচআরডব্লিউ-এর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, দেশটির সরকারি কর্মকর্তারা ‘সহিংসতার হুমকি এবং দুই জন এমপি সাময়িকভাবে আটক করে’ অনাস্থা ভোটের আহ্বানে সাড়া দিয়েছেন।
এতে দেশটিতে পরিস্থিতি বিপজ্জনক সংঘর্ষে পরিণত হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে। ইমরান খান অর্থনীতি, শাসন ও পররাষ্ট্রনীতির অব্যবস্থাপনা করেছেন এমন অভিযোগে হাজার হাজার লোকের সমাবেশ করার পর দেশটির বিরোধীরা তাকে ক্ষমতা থেকে ছুড়ে ফেলার চেষ্টা করছে।
পাকিস্তানে এখন পর্যন্ত কোনো প্রধানমন্ত্রীই পূর্ণমেয়াদের ক্ষমতায় টিকতে পারেননি। এদিকে গত মঙ্গলবার দেশটির সরকারের সমর্থনকারী জোটের এক শীর্ষ নেতা জানান,
পাকিস্তানের ক্ষমতাসীন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান সরকারের তিন প্রধান সহযোগী তার মন্ত্রিসভা ছাড়তে চলেছে। এ নিয়ে পার্লামেন্টে সংখ্যাগরিষ্ঠ হারানোর দ্বারপ্রান্তে ইমরান খানের সরকার।
হাম টিভিতে দেয়া সাক্ষাতকারে পাকিস্তান মুসলিম লীগ-কায়েদ এর নেতা চৌধুরী পারভেজ এলাহি বলেন, এটি এই মাসের শেষের দিকে শুরু হতে যাওয়া ইমরান খানের বিরুদ্ধে বিরোধী দলের আনা অনাস্থা প্রস্তাবে সমর্থন বাড়িয়ে দেবে।
এলাহি বলেন, ইমরান খানের এখন কাজ হলো ব্যক্তিগতভাবে তার মিত্র দলগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ করা এবং তাদের জোট সরকারে থাকতে রাজি করা। অন্যথায় শতভাগ সমস্যায় পড়বেন তিনি।
আল জাজিরা, এনডিটিভি।