আগামী ৫ মে হবে এম এম কলেজের বাংলা বিভাগের মিলনমেলা

বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের বিকাশে ষাট বছরের সমৃদ্ধ ইতিহাস ও ঐতিহ্য রয়েছে যশোর সরকারি মাইকেল মধুসূদন (এমএম) কলেজ, বাংলা বিভাগের।

এই বিভাগ দেশের খ্যাতিমান গীতিকার, লেখক ও রাজনীতিকের জন্ম দিয়েছে। সেই বাংলা বিভাগের পুরানো ঐতিহ্য নিয়ে প্রথম ব্যাচের শিক্ষার্থী থেকে বর্তমান সময়ে শিক্ষার্থীদের সমন্বয়ে মিলনমেলার আয়োজন করা হয়েছে।

শনিবার দুপুরে যশোর প্রেসক্লাব মিলনায়তনে সামগ্রিক আয়োজনের আনুষ্ঠানিক প্রস্তুতি সভা করা হয়েছে।

শুরুতে বাংলার মিলনমেলা-২০২২ আয়োজক কমিটির সদস্য সচিব সাংবাদিক মনিরুল ইসলাম আয়োজনের প্রেক্ষাপট তুলে ধরেন। সামগ্রিক অনুষ্ঠানের খসড়া সূচি উপস্থাপন করেন কমিটির আহবায়ক ও দাউদ পাবলিক কলেজের সহকারি অধ্যাপক কামরুজ্জামান আজাদ।

সভায় অন্যান্যের মধ্যে মতবিনিময় করেন মাইকেল মধুসূদন কলেজে বাংলা বিভাগ প্রতিষ্ঠার অন্যতম উদ্যোক্তা অধ্যাপক আফসার আলী, স্নাতক পর্বের দ্বিতীয় ব্যাচের শিক্ষার্থী অধ্যাপক নার্গিস বেগম ও আইনজীবী এনামুল হক, চতুর্থ ব্যাচের শিক্ষার্থী অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান, অবসরপ্রাপ্ত বিভাগীয় প্রধান অধাপক একরামুল আজিজ ও বর্তমান বিভাগীয় প্রধান সহযোগী অধ্যাপক আকতার হোসেন।

আয়োচনায় বক্তব্য রাখেন, প্রাক্তন শিক্ষার্থী সুরবিতান সংগীত একাডেমির সভাপতি বাসুদেব বিশ্বাস, ব্যবসায়ী বকুল মাহবুব, শিক্ষক নিলুফা ইয়াসমিন, রমেশ চন্দ্র বাইন, সাংবাদিক তৌহিদ মনি, দেলোয়ার হোসেন দিলশান, মাসুদ রানা, সৈয়দ ইমদাদুল হক, আসাদুল আলম, কণ্ঠশিল্পী সাহারা খানম প্রমুখ।

সভায় জানানো হয়, আগামী ৫ মে কলেজ ক্যাম্পাস ও জেলা শিল্পকলা একাডেমি তে মিলনমেলা অনুষ্ঠিত হবে। ইতিমধ্যে প্রাক্তন ও বর্তমান শিক্ষার্থীদের মধ্যে ৩০০ জন অনুষ্ঠানে যোগ দেয়ার জন্যে নিবন্ধন সম্পন্ন করেছেন।

এরমধ্যে খ্যাতিমান গীতিকার রফিক উজ জামান, প্রথম ব্যাচের শিক্ষার্থী লেখক আমজাদ হোসেন, অধ্যাপক নার্গিস বেগম ও আইনজীবী এনামুল হকের মত রাজনীতিক ও সামজিক বর্ষিয়ান ব্যক্তিরা রয়েছেন।

৫ মে দিনব্যাপী বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা, কলেজের শহীদ মিনারে মাল্যদান, জাতীয় সংগীতের সাথে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, বেলুন ফেস্টুন উড়ানো, বিভিন্ন ব্যাচের শিক্ষার্থীদের স্মৃতিচারণ, চর্যাপদ ও বাউল গান ও বাংলা বিভাগের ভবিষ্যৎ করণীয় বিষয়ে সেমিনার অনুষ্ঠিত হবে।

একই সাথে অনুষ্ঠানের দিন অংশগ্রহণকারীদের ছবি, নাম ও পরিচয় সম্বলিত রঙিন স্মরণীকাও প্রকাশ করা হবে। যা সবার হাতে হাতে পৌছে দেয়া হবে।