কোনওভাবেই ইউক্রেন যুদ্ধে সরাসরি জড়াবে না আমেরিকা: রিপোর্ট

ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযান শুরুর দুই মাস পর ২৪ এপ্রিল ইউক্রেন সফর করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন। সফরে তারা ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে বৈঠক করেন।

এ সময় রুশ বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে আরও ৭০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার সহায়তার ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

এর মধ্যে অর্ধেকের বেশি অর্থ সরাসরি ইউক্রেনে যাবে। বাকি অংশ ওই অঞ্চলের ন্যাটো সদস্য রাষ্ট্রগুলোকে দেয়া হবে। এদিকে, ইউক্রেনকে যুদ্ধে অস্ত্র ও আর্থিকভাবে সহায়তা করলেও এই যুদ্ধে সরাসরি জড়াবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, বিষয়টি আবারও পরিষ্কার করেছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন।

তবে এই সহায়তা মানে এই নয় যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি এই যুদ্ধে জড়িত হচ্ছে। ব্রিটিশ গণমাধ্যম ‘বিবিসি’ এক প্রতিবেদনে এ কথা জানিয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, মার্কিন এক প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা মার্কিন সংবাদমাধ্যমগুলোকে বলেছেন, “প্রেসিডেন্ট (জো বাইডেন) স্পষ্ট করে বলেছেন যে ইউক্রেন যুদ্ধে কোনও মার্কিন সেনা অংশ নেবে না। এর আওতায় ইউক্রেনের আকাশও রয়েছে।”

তাদের মতে, এই সফর ইউক্রেন যুদ্ধে মার্কিন বাহিনীর সরাসরি সম্পৃক্ততার ইঙ্গিত দেয় না। এর আগে যুদ্ধের শুরুতে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি ন্যাটোকে তার দেশের আকাশে নো-ফ্লাই জোন বাস্তবায়নের জন্য অনুরোধ করেছিলেন। কিন্তু ন্যাটো তা প্রত্যাখ্যান করেছে। সূত্র: বিবিসি