মৃত ঘোষণার পর মর্গে নড়ে উঠলেন বৃদ্ধা!

body

চীনের সাংহাই প্রদেশের একটি কেয়ার হোমের একজন বয়স্ক রোগীকে মৃত ঘোষণার পর মরেদহ মর্গে পাঠানো হয়। পরে মর্গে ওই বৃদ্ধা নারী নড়ে ওঠেন। এরপর আবার তাকে হাসপাতালে নেয়া হয়।

এ ঘটনায় সংশ্লিষ্ট কেয়ার হোমের চার কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করেছে কর্তৃপক্ষ। রোববার অনলাইনে এই ঘটনার একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে।

এতে দেখা যায়, মর্গের দুই কর্মী একটি ব্যাগে ভরে ওই নারীর দেহ গাড়িতে তুলছেন। পরে তাদের একজনকে ব্যাগটি খুলতে দেখা যায় এবং অপরজনকে বলতে শোনা যায়, রোগী এখনও বেঁচে আছেন।

এই ঘটনায় চীনা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। সোমবার শেষ রাতের দিকে চীনের সাংহাইয়ের পুতুও জেলার কর্মকর্তারা এ ঘটনা নিশ্চিত করেছেন।

তারা বলেছেন, রোগীকে সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে নেওয়া হয় এবং বর্তমানে তিনি স্থিতিশীল আছেন। জেলা কর্তৃপক্ষ বলছে, এ ঘটনায় কেয়ার হোমের চার কর্মকর্তা এবং একজন চিকিৎসকের বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে।

স্থানীয় সিভিল অ্যাফেয়ার্স ব্যুরোর উপ-পরিচালক এবং কেয়ার হোমের পরিচালকসহ চার কর্মকর্তাকে ইতোমধ্যে বরখাস্ত করা হয়েছে। এছাড়া একজন চিকিৎসকের মেডিক্যাল লাইসেন্সও বাতিল করা হয়েছে।

তবে ওই রোগীর পরিচয় এখনও জানা যায়নি। অনলাইনে অনেকেই এই ঘটনার নিন্দা জানিয়েছেন। রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম গ্লোবাল টাইমসের সাবেক প্রধান সম্পাদক জু জিজিং বলেছেন, ‌এটি দায়িত্বের গুরুতর অবহেলা।

যা প্রায় মৃত্যুর দিকে নিয়ে যায়। চীনা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম উইবোতে অপর এক বিশ্লেষক বলেছেন, সাংহাইয়ে যে বিশৃঙ্খলা ঘটছে, এটি তারই লক্ষণ।

চীনের বৃহত্তম শহর সাংহাইয়ে গত মার্চ মাসে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বাড়তে শুরু করে। প্রায় আড়াই কোটি মানুষের এই শহরে মহামারির লাগাম টানতে আরোপ করা কঠোর বিধি-নিষেধের ষষ্ঠ সপ্তাহ চলছে।

এই প্রদেশের বেশিরভাগ মানুষ কোনোভাবেই বাড়ির বাইরে বের হতে পারেন না। করোনা আক্রান্ত এবং তাদের ঘনিষ্ঠ সংস্পর্শে আসা লোকজনকে রাষ্ট্র-পরিচালিত কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে যাওয়া বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।

করোনা সংক্রমিত ও তাদের সংস্পর্শে আসা লোকজনকে বাড়ি থেকে জোর করে নিয়ে যাওয়ার সময় পুলিশের সাথে সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটেছে। সূত্র: বিবিসি।