প্রতারণা করে টাকা আত্মসাত, চাঁদাদাবি ও চাঁদা নেয়ার অপরাধে কোতয়ালি থানায় মামলা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে যশোর সদর উপজেলার নরেন্দ্রপুর গ্রামে।
এ ঘটনায় ওই গ্রামের মোছাঃ সালমা খাতুন (৩২) ৭ মে শনিবার ৩ জনের নামে মামলাসহ অজ্ঞাত নামা আরো ২/৩ জনকে আসামি করে মামলা করেন।
আসামিরা হচ্ছে মনিরামপুর উপজেলার হরিদাসকাঠি গ্রামের মিজানুর গাজী (৪৫) একই উপজেলার চানপুর
বাজার মাইঝিলি রাজগঞ্জ রোডের ইব্রাহিম হোসেন ওরফে কালু (৪২) ও হরিদাসকাঠির মকবুল গাজী (৪০)।
মামলায় বলা হয়েছে, সালমা খাতুন নরেন্দ্রপুর গ্রামে মামা আক্তার মাওলানার বাড়ি থাকেন। গত ১৩ জানুয়ারি বিকেলে আসামি মিজানুর গাজী ও ইব্রাহিম হোসেন কালু বন্ধু রাসেলকে বিয়ে দেবে বলে সালমাদের বাড়ি যায় ও ভালো মেয়ে আছে কিনা জিজ্ঞাসা করে।
কথাবার্তার এক পর্যায়ে তারা জানায় তাদের বন্দু সেনাবাহিনীতে চাকুরি করে বর্তমানে কক্সবাজারে আছে। সালমা তার মেয়ে খাদিজার কথা বললে আসামিরা মেয়েকে দেখতে চায় ও মেয়ে দেখে পছন্দ করে।
যাওয়ার সময় মেয়ের সাথে ছবি তোলে ও যোগাযোগের জন্য সালমার মোবাইল নাম্বার নিয়ে যায়। ওই দিন সন্ধ্যায় আসামি এক নং আসামি মিজানুর গাজী সেনাবাহিনীতে চাকুরি করে নিজেকে রাসেল পরিচয় দিয়ে সালমার মোবাইলে ফোন করে সালমা ও তার স্বামীর সাথে কথা বলে।
পরে ১৫ জানুয়ারি এক নং আসামি আবারো সালমাকে ফোন করে তার পিতা মাতা নেই বলে কান্নাকাটি করে। একই সাথে বলে তার চাকুরির ক্ষতি হচ্ছে ২ লাখ টাকা প্রয়োজন। টাকা না দিলে চাকুরির ক্ষতি হবে।
সালমা ও তার স্বামী সরল বিশ্বাসে ১ নং আসামি মিজানুর গাজীর দেয়া মোবাইল নাম্বারে ১৭ জানুয়ারি ২২ হাজার ৫শ ১৯ জানুয়ারি আর একটি নাম্বারে ১১ হাজার টাকা ও বিভিন্ন সময় ১৮ হাজার টাকাসহ মোট ৫১ হাজার ৫শ টাকা নগদ ও বিকাশের মাধ্যমে প্রদান করেন।
পরবর্তীতে প্রতারণার মাধ্যমে আরো টাকা নেয়ার জন্য ২৬ জানুয়ারি বিকেলে ১ নং আসামি মিজানুর গাজী সালমার বাড়ি যায়। যেয়ে বলে রাসেল তাকে পাঠিয়েছে তার আরো টাকা প্রয়োজন। সরল বিশ্বাসে সালমা ও তার স্বামী নগদ দেড় লাখ টাকা দেয়। সেনাবাহিনীতে চাকুরি করে রাসেল পরিচয় দিয়ে প্রতিনিয়ত কথা বলে ও বিভিন্ন ওজুহাতে টাকা চাওয়ায় সালমার সন্দেহ হয়।
এরপর খোঁজ খবর নিয়ে জানতে পারেন আসামিরা প্রতারক। ১ নং আসামি মিজানুর গাজী ও তার সহযোগী
আসামিরা পরিচয় গোপন করেন রাসেল দিয়ে তাদের সাথে প্রতারণা করে আসছে। আসামিরা বিশ্বাস ভঙ্গ করে প্রতারণার মাধ্যমে সালমাদের কাছ থেকে ২ লাখ ১৫শ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।
২৬ এপ্রিল সকালে সালমা ১ নং আসামি মিজানুর গাজীর কাছে টাকা ফেরত চাইলে সে বলে মেয়ের ছবি এডিটিং করে ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দিয়ে পরিবারের মানসম্মান ক্ষুন্ন করবে ও মেয়েকে বিয়ে দিতে দেবে না বলে হুমকি দিয়ে ১ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে।
পরিবারের মানসম্মান ও মেয়ের কথা চিন্তা করে সালমা ওই দিন বিকেলে আসামিদের নগদ ২৭ হাজার টাকা প্রদান করে। কিন্তু আসামিরা আরো টাকা চেয়ে সালমার পরিবারকে ক্ষয়ক্ষতিসহ বিভিন্ন ধরনের হুমকি প্রদান করে আসছে।