বিদ্যুৎস্পর্শে ডান হাত দগ্ধ শিশুটির সুচিকিৎসায় সহায়তার আকুতি

বাসার টেবিল ফ্যানে বৈদ্যুতিক প্লাগ সংযোগ দিতে গিয়ে ডান হাতে বিদ্যুৎস্পর্শ হয়। এতে হাতের তিনটি আঙ্গুল পুড়ে গেছে। পোড়া আঙ্গুল নিয়ে হাসপাতালের বেডে যন্ত্রণায় কাতর পার্থ সাহা (৬ বছর)।

তার সুস্থ হয়ে উঠার আকুতি পরিবারের সদস্যদের কাঁদাচ্ছে। চোখের জলে বুক ভেসে গেলেও অর্থাভাবে তার সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করতে পারছে না নি¤œ আয়ের পরিবারটি। বন্ধু, স্বজনদের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র আর্থিক সহায়তায় তিন সপ্তাহ ধরে কোন রকমে চিকিৎসার ব্যবস্থা করলেও অপারেশন (সার্জারী) নিয়ে দুশ্চিন্তার শেষ নেই।

পার্থ সাহা বর্তমানে খুলনা ২৫০ শয্যা হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন। যশোর ইন্সটিটিউট প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিশু শ্রেণীতে পড়ুয়া পার্থ সাহা শহরের বেজপাড়া সুধীরবাবুর কাঠগোলা এলাকার নেপাল সাহার ছেলে। নিম্ন আয়ের পরিবারটি ভাড়া বাসায় থাকেন। স্ত্রী, ছেলে ও মাকে নিয়ে চার সদস্যের পরিবার তার।

একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি নেপাল সাহার মাসিক আয় ৭ হাজার টাকা। অল্প আয়ে সংসার চালাতে হিমশিম। সেখানে ছেলের সুচিকিৎসা নিয়ে শংকিত তারা।

নেপাল সাহা বলেন, প্রথমে ছেলে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেছিলাম। সেখানে তেমন চিকিৎসা হয়নি। পরে খুলনায় বার্ন ইউনিটে ভর্তি করেছি। তিন সপ্তাহ ধরে ছেলের চিকিৎসায় ঘুরছি, এখানে সেখানে।

কিন্তু টাকার অভাবে সুচিকিৎসা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। বন্ধু স্বজনরা সামর্থ অনুযায়ী অল্প পরিমাণে অর্থ সহায়তা দিচ্ছে, সেই টাকা দিয়ে চলছি। কিন্তু চিকিৎসকরা বলছেন, পার্থকে ঢাকা নিয়ে অপারেশন (সার্জারী) করতে হবে। অপারেশন করতে কত টাকা লাগবে, সেটা এখনই বলা যাচ্ছে না।

আপাতত চিকিৎসার জন্যও টাকা জোগাড় করতে পারছি না। ছেলের সুচিকিৎসা নিয়ে খুবই দুশ্চিন্তাই আছি।
তিনি বলেন, যশোর শহরের একটি টায়ার বিক্রির দোকানে কর্মচারী হিসেবে যে বেতন পাই তাই দিয়ে সংসার ঠিকমত চলে না। থাকি ভাড়া বাসায়। এরমধ্যে আবার ছেলের বিপদ।

কিভাবে ছেলের সুচিকিৎসা করাবো ভেবে পাচ্ছি না। সমাজের মানবিক মানুষের সহযোগিতা পেলে হয়তো ছেলের সুচিকিৎসার ব্যবস্থা হবে। পার্থর চিকিৎসা সহায়তা ও সন্ধান : বিকাশ-নগদ একাউন্ট: ০১৯৩৭৮৭৪৭১৩ (নেপাল সাহা)।