ভারত থেকে গম আমদানিতে কোনো সমস্যা নেই: বাণিজ্যমন্ত্রী

ভারত থেকে গম আমদানিতে বাংলাদেশের কোনো সমস্যা নেই বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। তিনি বলেন, জি টু জি ভিত্তিতে আমদানিতে কোনো বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়নি।

এ ছাড়া বেসরকারি পর্যায়ে বাংলাদেশের আমদানিকারকরা অনুমতি নিয়ে যে কোনো পরিমাণ গম আমদানি করতে পারবেন।

আমরা ইতোমধ্যে ভারতের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি বাংলাদেশের প্রয়োজনে ভারত থেকে গম আমদানিতে কোনো সমস্যা হবে না। এ মুহূর্তে বাংলাদেশে প্রয়োজনীয় গম মজুত আছে। গম সংকটের কোনো আশঙ্কা নেই।

সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে দ্রব্যমূল্য ও বাজার পরিস্থিতি পর্যালোচনা সংক্রান্ত টাস্কফোর্স কমিটির ২য় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য এসব কথা বলেন তিনি।

সভায় বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, দেশে প্রয়োজনীয় ভোজ্যতেল মজুত রয়েছে। পর্যাপ্ত ভোজ্যতেল পাইপলাইনে রয়েছে, সরবরাহ স্বাভাবিক রয়েছে। ভোজ্যতেলের সংকট হওয়ার কোনো আশঙ্কা নেই।

আমদানিকারকদের প্রকৃত ক্রয়মূল্য ও আনুষঙ্গিক ব্যয় বিবেচনায় নিয়ে ভোজ্যতেলের ন্যায্যমূল্য নির্ধারণ করা হচ্ছে এবং নির্ধারিত মূল্যে ক্রয়-বিক্রয় চলছে। নির্ধারিত মূল্যের বেশি দামে বিক্রয়ের কোনো অভিযোগ পাওয়া গেলে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ভীতি সৃষ্টি করা আমাদের উদ্দেশ্য নয়, ন্যায়সঙ্গত ব্যবসা পরিচালনা করলে কোনো সমস্যা হবে না। ভোজ্যতেলের ৯০ শতাংশ আমরা আমদানি করে থাকি। আমরা আর আমদানি নির্ভর থাকতে চাই না।

বিকল্প হিসেবে সরিষার উৎপাদন বৃদ্ধি এবং রাইস ব্র্যান ভোজ্য তেলের উৎপাদন বৃদ্ধি করে দেশের চাহিদা পূরণের জন্য সরকার কাজ করছে। স্থানীয়ভাবে ৭ লাখ মেট্রিক টন রাইস ব্র্যান ভোজ্যতেল উৎপাদন করা সম্ভব, যা মোট দেশের চাহিদার ২৫ ভাগ পূরণ করতে পারবে।

টিপু মুনশি বলেন, টিসিবি দেশের এক কোটি পরিবারকে বিশেষ কার্ডের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য বিক্রয় অব্যাহত রাখবে। আগামী জুন মাসের প্রথমার্ধেই এ পণ্য বিক্রি শুরু হবে।

নির্ধারিত ডিলারের মাধ্যমে দোকান থেকে এসব পণ্য বিক্রি হবে। প্রয়োজনে নির্ধারিত স্থানে ট্রাক থেকেও বিক্রি করা হবে। এ পণ্য বিক্রি সুশৃঙ্খল করা হয়েছে, সব কার্ডহোল্ডার এ পণ্য পাবেন।

তিনি বলেন, দেশে পর্যাপ্ত পেঁয়াজ মজুত ও সরবরাহ রয়েছে। পেঁয়াজ সংকট হওয়ার কোনো আশঙ্কা নেই। দেশীয় পেঁয়াজ উৎপাদকারীদের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করতে সাময়িকভাবে পেঁয়াজ আমদানি নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। আগের যে কোনো সময়ের চেয়ে দেশে পেঁয়াজের উৎপাদন বেড়েছে।

ন্যায্যমূল্য পেলে বাংলাদেশের কৃষকরা পেঁয়াজ উৎপাদনে আরও আগ্রহী হবেন। অল্প সময়ের মধ্যে পেঁয়াজ আমদানি স্বাভাবিক হবে। এ ছাড়া পেঁয়াজের নতুন জাত উদ্ভাবন করা হচ্ছে।

আশা করা যায়, আগামী ২০২৫ সালে বাংলাদেশ পেঁয়াজ উৎপাদনে স্বয়ংসম্পন্ন হবে। সমস্যাগুলো সমাধানের জন্য সরকার দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নিয়ে তা বাস্তবায়ন করছে। অল্প সময়ের মধ্যে এর সুফল পাওয়া যাবে।