বাংলাদেশে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা অন্য দেশের জন্য উদাহরণ

hasan mahmud
ফাইল ছবি

বাংলাদেশে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা অনেক উন্নয়নশীল দেশের জন্য ‘উদাহরণ’ বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্য-সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

তিনি বলেন, বাংলাদেশে গণমাধ্যম যেভাবে স্বাধীনভাবে কাজ করে, বাংলাদেশের গণমাধ্যমের যেভাবে বিকাশ হয়েছে, সেটি অনেক উন্নয়নশীল দেশের জন্য উদাহরণ।

বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীতে সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি-ডিআরইউয়ের ২৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী অনুষ্ঠাননে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।

এর আগে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি প্রাঙ্গণে তথ্যমন্ত্রী জাতীয় পতাকা এবং ডিআরইউ সভাপতি সংগঠনের পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী অনুষ্ঠান সূচনা করেন।

পায়রা ও বেলুন উড়িয়ে বক্তৃতাপর্ব শেষে বর্ণাঢ্য র‌্যালিতে যোগ দেন মন্ত্রী। ডিআরইউ সভাপতি নজরুল ইসলাম মিঠুর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক নূরুল ইসলাম হাসিবের সঞ্চালনায় জাতীয় প্রেসক্লাব সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিনসহ সাংবাদিক নেতারা এসময় উপস্থিত ছিলেন।

হাছান মাহমুদ বলেন, ২৭ বছরের পথ পরিক্রমায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি ঐক্যবদ্ধ থেকেছে, রাজনীতি থেকে দূরে থেকেছে, রাজনীতিকভাবে বিভক্ত হয়নি, যা অত্যন্ত বড় সাফল্য বলে আমি মনে করি।

আশা করি আগামী ৫০ বছর পরেও ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি ঐক্যবদ্ধ থাকবে। তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ গণমাধ্যম সঠিকভাবে কাজ করলে রাষ্ট্র বিকশিত হয়,

সমাজ বিকশিত হয়, উপকৃত হয়। সেই কথাটি মাথায় রেখেই প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা গণমাধ্যমের উন্নয়নের জন্য অনেক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন।

তিনি বলেন, গত সাড়ে ১৩ বছরে বাংলাদেশে গণমাধ্যমের ব্যাপক বিকাশ ঘটেছে। আজ থেকে ১৩ বছর আগে ১০টি টেলিভিশন চ্যানেল ছিলো, এখন প্রায় ৩৮টি প্রাইভেট টেলিভিশন চ্যানেল সম্প্রচারে আছে।

আরও কয়েকটি সম্প্রচারে আসছে। বেসরকারি রেডিও ছিল না, এখন ১২টির বেশি এফএম রেডিও ১৮টির মতো কমিউনিটি রেডিও সম্প্রচারে আছে। পত্রিকার সংখ্যা সাড়ে ৪০০ থেকে সাড়ে ১২০০-তে উন্নীত হয়েছে।

একই অনুষ্ঠানে হাছান মাহমুদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মহানুভবতা অনুধাবনে বিএনপির ব্যর্থ হয়েছে। এ কারণে জনগণ মনে করে খালেদা জিয়াকে আবারও কারাগারে পাঠানো উচিত।

পদ্মা সেতু নিয়ে বিএনপির সমালোচনার জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, অনেক মানুষ যারা পদ্মা সেতুর বিরোধিতা করেছিলো, তাদের সাঁতরে পদ্মা পার হওয়া উচিত। সেতুর ওপর দিয়ে নয়।