যশোর শহরের নাজির শংকরপুর জিরো পয়েন্টে মোড়ে এবার সন্ত্রাসী হামলার শিকার হলেন পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও আওয়ামী লীগ নেতা অ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামান বাবুল (৫৪)।
তিনি ওই এলাকার হাজী আফজাল হোসেনের ছেলে। সোমবার রাত ৮টার দিকে জিরো পয়েন্ট মোড়ে তার মাথায় কুড়ালোর কোপ দিয়ে জখম করা হয়েছে।
তাকে গুরুতর জখম অবস্থায় যশোরে জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গত রোববার রাতে ঘটে যাওয়া আফজাল হত্যাকান্ডের জেরে কাউন্সিলর বাবুলের ওপর এই হামলা কবলে স্থানীয়রা মনে করছেন।
জিরো পেয়েন্ট এলাকার লোকজন জানিয়েছেন, গত রোববার রাতে আফজাল হোসেন (২৮) নামে এক যুবক সন্ত্রাসী হামলায় নিহত হন।
তার বাড়ি নাজির শংকরপুর চাতালের মোড়ে। স্থানটি পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্গত। সোমবার মাগরীবের নামাজের পর বেজপাড়ার
কবনস্থানে নিহত আফজালের দাফন হয়। কাউন্সিলরসহ এলাকার লোকজন দাফন শেষে পায়ে হেটে জিরো পেয়েন্টের দিকে যাচ্ছিলেন।
জিরোপয়েন্টের কাছাকাছি পৌছালে পেছন থেকে এক যুবক একটি কুড়াল দিয়ে কাউন্সিলর বাবুলের মাথার পেছনে কোপ মেরে দৌড়ে পালিয়ে
যায়।
সে সময় চিৎকার শুনে আশেপাশের লোকজন রক্তাক্ত কাউন্সিলরকে একটি রিকসায় করে দ্রুত যশোর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়।
তার অবস্থা আশংকাজনক বলে হাসপাতালের চিকিৎসকরা জানিয়েছেন। একজন প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছে, কবরস্থানে দাফন শেষে বাঁশ কাটার জন্য নিয়ে যাওয়া কুড়াল দিয়ে ওই এলাকার কাঠ মিস্ত্রি জাহাঙ্গীরের ছেলে সাকিব পেছন থেকে কাউন্সিলরকে কোপ দিয়ে দ্রুত পালিয়ে যায়।
সাকিব ওই এলাকার আব্দুল হাইয়ের বাড়ির ভাড়টিয়া। কাউন্সিল বাবুল সন্ত্রাসী হামলার শিকার হওয়ার পর হাসপাতালে যান পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর জাহিদ হোসেন মিলন।
তিনি জানিয়েছেন, কাউন্সিলর বাবুল যশোর শহর আওয়ামী লীগের সহ সাংগঠনিক সম্পাদক। সোমবার জিরো পেয়েন্ট মোড়ে তিনি সন্ত্রাসী হামলার শিকার হয়েছে।
ঘটনার সাথে জড়িতদের দ্রুত আটকের দাবি জানান তিনি। সোমবার রাতে হাসপাতালে ছুটে যান যশোর পুলিশের ক সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বেলাল হোসাইনসহ উর্ধতন কর্মকর্তারা।
এ বিষয়ে কোতয়ালি থানার ওসি তাজুল ইসলাম জানিয়েছেন, জিরো পেয়েন্ট মোড়ে কে বা কারা কাউন্সিলর অ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামান
বাবুলের মাথায় কোপ মেরে পালিয়ে গেছে।
পুলিশ ঘটনাস্থলে রয়েছে। আসামি আটকের চেষ্টা চালাচ্ছে। এদিকে আওয়ামী লীগ নেতা ও কাউন্সিলর অ্যাডভোকেট আসাদুজজামান বাবুলের ওপর হামলার প্রতিবাদ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা হাসপাতাল থেকে শহরের দিকে মিছিল বের করে।
তারা এই ঘটনার সাথে জড়িতের আটকের দাবি জানান। নাজির শংকরপুর এলাকার লোকজন জানিয়েছে, গত রোববার আফজাল হত্যাকান্ডের ঘটনায় জড়িত কোল্ডস্টোরেজ মোড়ের ট্যারা সুজনের মদদদাতা হিসাবে কাউন্সিলর বাবুলকে সন্দেহ করছে নিহতের পরিবারের লোকজন
এবং নিহত আফজালের সঙ্গীরা। তারা এই ঘটনার প্রতিশোধ নিতে কাউন্সিলর বাবুলের ওপর হামলা চালিয়েছে।
