যশোরে ড্রেনে পড়ে যাওয়া তিন শিশুকে উদ্ধার করলো ফায়ার সার্ভিস

পথচারীর দায়িত্ববোধ আর ফায়ারসার্ভিস কর্মীদের দ্রুত তৎপরতায় প্রাণে রক্ষা পেল তিন শিশু। ৯৯৯ এ ফোন পেয়ে ড্রেনে পড়ে গিয়ে আটকা পড়া ওই তিন শিশুকে উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা। আজ বুধবার বিকেলে যশোর শহরের রেলগেট তেঁতুলতলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
উদ্ধার হওয়া তিন শিশু হলো, যশোর শহরের শংকরপুর ছোটনের মোড় এলাকার মিন্টু মিয়ার ছেলে নিরব (১৪) একই এলাকার শুকুর আলীর ছেলে নয়ন হোসেন (১৩) ও একই এলাকার নূর ইসলামের ছেলে হৃদয় হোসেন (১৬)। ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার আশরাফুর রহমান জানান, যশোর শহরের রেলগেট তেঁতুলতলা থেকে খালিদ হাসান নামে একজন পথচারী বুধবার সোয়া তিনটায় ‘জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে জরুরি উদ্ধার সহায়তা চেয়ে অনুরোধ জানান। কলার জানান, সেখানে ড্রেনের ভিতর কয়েকটি শিশু আটকা পড়েছে। তিনি শিশুদের কান্নাকাটি ও বাঁচাও বাঁচাও চিৎকার শুনতে পাচ্ছিলেন। ড্রেনের ছোট্ট একটি ছিদ্র দিয়ে তিনি কান্নারত এক শিশুকে দেখতে পেয়েছেন, তার থেকে জানতে পেরেছেন ড্রেনের ভিতরে আরো দুই শিশু রয়েছে তার সাথে।’ ৯৯৯ কলটেকার কনস্টেবল মোসাম্মৎ ফাতেমা আক্তার কলটি রিসিভ করেছিলেন। তিনি তাৎক্ষণিকভাবে যশোর ফায়ার সার্ভিস স্টেশনে বিষয়টি জানিয়ে দ্রুত উদ্ধার তৎপরতার জন্য অনুরোধ জানান। পরবর্তীতে যশোর ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের একটি উদ্ধারকারী দল ঘটনাস্থলে যায়। ড্রেনে নামার আর কোন পথ না থাকায় ঢালাই করা ড্রেনের কংক্রিট স্ল্যাব ভেঙে প্রথমে এক কিশোরকে উদ্ধার করেন। এরপর ওই স্থান থেকে বেশ কিছু দূরে আরো দুই শিশুকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।
স্টেশন অফিসার আশরাফুর রহমান আরো জানান, ড্রেনটির উচ্চতা সাত ফুট প্রস্থ তিন ফুট এবং দৈর্ঘ্য দুই কি.মি.। শিশু তিনটি মাছ ধরার জন্য ড্রেনে নেমেছিল, হাঁটতে হাঁটতে অনেক দূর চলে যাওয়ার পর অন্ধকার ড্রেনের ভেতর তারা দিক ও পথ হারিয়ে ফেলে।
যশোর ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের সহকারী পরিচালক মনোরঞ্জন সরকার জানান, ড্রেনের গন্ধে ও ড্রেনে ঢাকানা বন্ধ থাকার কারণে সেখানে অক্সিজেনেরও ঘাটতি ছিল। এজন্য শিশুরা কিছুটা অসুস্থও হয়ে পড়ে। উদ্ধারের পরে একটু বিশ্রামের পর শিশুরা সুস্থবোধ করলে স্বজনদের কাছে তাদের হস্থান্তর করা হয়।