পদ্মা সেতু উদ্বোধনে নাশকতার আশঙ্কা, আটক ১

পদ্মাসেতু উদ্বোধনকে সামনে রেখে আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটাতে সুশৃঙ্খল বাহিনীর সদস্যসহ জনগণকে বিভ্রান্ত করতে শহীদ উদ্দিন লিফলেট বিতরণ ও পোস্টার লাগানোর জন্য কিছু লোককে মাঠে নামিয়েছেন। আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটাতে মাঠে নেমেছে কিছু লোক। এর জন্য তারা সুশৃঙ্খল বাহিনীর সদস্যসহ জনগণকে বিভ্রান্ত করতে লিফলেট বিতরণ ও বিভিন্ন স্থানে পোস্টারও লাগাচ্ছে।

এই অপতৎপরতার পেছনে আছেন আদালতে দণ্ডপ্রাপ্ত প্রবাসে থাকা সাবেক সেনা কর্মকর্তা শহীদ উদ্দিন খান। গত ১১ জুন রাজধানীর বায়তুল মোকারম জাতীয় মসজিদের দক্ষিণ গেইট থেকে গ্রেপ্তার এক যুবকের জবানবন্দী থেকে এসব তথ্য পেয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা ও অপরাধ তথ্য বিভাগ- ডিবি। তাকে সাত দিনের রিমাণ্ডে নেওয়া হয়েছে।

ডিবি কর্মকর্তা বলেন, ধরা পড়ার আগে কৌশিকুর রহমান ১৫-২০ দিন ধরে ঢাকার লালবাগ, ধানমন্ডি ও মতিঝিল এলাকায় ২-৩ হাজার লিফলেট বিতরণ করেছেন।

গ্রেপ্তার কৌশিকুর রহমানের কাছ থেকে শহীদ উদ্দিনের ছবিসহ ৩৯৫টি লিফলেট উদ্ধার করেছে ডিবি। লিফলেটের বাম পাশে শহীদ উদ্দিনের ছবি, ডান পাশে মুষ্টিবদ্ধ তিনটি হাতের মটিফ রয়েছে। মাঝখানে লেখা রয়েছে, ‘হঠাও মাফিয়া, বাঁচাও দেশ, শহীদ স্যারের নির্দেশ’। ১০ দফা দাবি সম্বলিত লিফলেটের নিচে লেখা ‘বাংলাদেশ জিন্দাবাদ’।

তদন্তকারী সংস্থার সূত্র বলছে, কৌশিকুর রহমান জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন, পদ্মাসেতু উদ্বোধনকে সামনে রেখে আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটাতে সুশৃঙ্খল বাহিনীর সদস্যসহ জনগণকে বিভ্রান্ত করতে শহীদ উদ্দিন লিফলেট বিতরণ ও পোস্টার লাগানোর জন্য কিছু লোককে মাঠে নামিয়েছেন।

কৌশিকুর রহমানকে জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া তথ্যের বরাত দিয়ে ডিবি কর্মকর্তা বলেন, তিনি প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছেন, শহীদ উদ্দিনের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা পেয়ে তার সহযোগী খোকন ও বাবু এই লিফলেট প্রিন্ট করে তাকে বিতরণের দায়িত্ব দিয়েছিলেন। তিনিও টাকার বিনিময়ে সেই দায়িত্ব নিয়েছেন।

এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে গত ১২ জুন পল্টন থানায় সন্ত্রাস বিরোধী আইনে চারজনকে আসামি করে মামলা করেছে। আসামিরা হলেন, শাহীদ উদ্দিন, তার ঘনিষ্ঠ খোকন, বাবু এবং গ্রেপ্তার হওয়া কৌশিকুর রহমান।