বেনাপোল চেকপোষ্টে ভারতগামী যাত্রীরা চরম ভোগান্তিতে

ঈদ উপলক্ষে সরকারী ছুটি ও ব্যাক্তিগত ছুটি নিয়ে ভারত ভ্রমনে যাওয়ার ধুম পড়েছে। তবে দেশের দুর দুরান্তর থেকে আসা পাসপোর্ট যাত্রীরা বেনাপোল এসে পড়েছে বড় বিপাকে। রোদ বৃষ্টিতে ভিজে রাত জাগা যাত্রীরা রোগী ও ছোট ছোট ছেলে মেয়েদের নিয়ে বিশ্রামের জন্য ৫০ টাকা দিয়ে বন্দর এর ফি দিয়ে ও ঘন্টার পর ঘন্টা রাস্তায় দাড়িয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ার অভিযোগ উঠেছে।

বুধবার সকাল ৬ টা থেকে বেলা ১.০০ টা পর্যন্ত বেনাপোল চেকপোষ্টে প্রায় অর্ধকিলোমিটার লাইনে দাড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে পাসপোর্ট যাত্রীদের। দুর পাল্লার গাড়ি যত আসছে তত লাইনের পাল্লাও দীর্ঘ হতে দেখা গেছে। মাঝে মাঝে বৃষ্টি ও আবার মাঝে মাঝে রৌদ্রে গরমে অতিষ্ট হয়ে পড়েছে যাত্রীরা। সকাল সাড়ে ৭ টা ও ১০ টার দিকে বৃষ্টিতে ভিজে যাত্রীরা তাদের ভারত যাওয়ার আগ্রহ হারিয়ে ফেলছে।

ঢাকা থেকে আসা পাসপোর্ট যাত্রী সজিব হোসেন বলেন (বি ডাব্লুউ-০৪০৫৫৩৪) আমরা ব্যাংক থেকে ভ্রমন ট্যাক্স কাটার সময় অতিরিক্ত আরো ৫০ টাকা দিয়েছি। জানতে চাইলে সেখান থেকে বলা হয় এটা টার্মিনাল ফি। এখানে বিশ্রামাগার রয়েছে সেই বাবদ এই ফি নিয়েছি। তবে ওই ৫০ টাকার রশিদে ৪৭ টাকা লেখা থাকলেও নেওয়া হচ্ছে ৫০ টাকা।
বরিশাল থেকে আসা ঝরনা রানী বলেন, আমি আমার বৃদ্ধ স্বামীকে নিয়ে দীর্ঘ সময় লাইনে দাড়িয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছি নিজেও। তারপর দুইবার বৃষ্টিতে ভিজেছি। বৃষ্টির পর আবার প্রচন্ড রৌদ্রে ওই পানি গায়ে শুকিয়েছে। এতে অসুখ আরো বেড়ে যাবে ।
সরেজমিনে দেখা গেছে বেনাপোল ইমিগ্রেশন থেকে শুরু করে পাসপোর্ট যাত্রীদের লাইন দীর্ঘ হয়েছে। বেলা যত বাড়ছে যাত্রী সংখ্যা ও তত বৃদ্ধি পাচ্ছে। লাইনটি সাদিপুর রোডের ব্রীজ পর্যন্ত চলে গেছে। মানুষ লাইনে দাড়িয়ে দীর্ঘ স্বাস ছাড়ছে। কেন এ পথে ভারত যাচ্ছি। আবার কেউ কেউ বলছে বিশ্রামের কথা বলে ৫০ টাকা নিয়ে আরো ভোগান্তিতে ফেলছে আমাদের। এত এক আজব জায়গা।
এ ব্যাপারে বেনাপোল স্থল বন্দরের উপপরিচালক মামুন কবির তরফদার এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন আমার কিছু করার নেই। উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের মতামতের ভিত্তিতে ৪৭ টাকা টার্মিনাল ফি নেওয়া হচ্ছে। তবে এখানে বাতরুম এর ব্যবস্থা এবং ট্রলি ব্যবস্থা আছে যাত্রীদের জন্য।

বেনাপোল ইমিগ্রেশন ওসি ইলিয়াছ হোসেন বলেন, আমরা পাসপোর্ট যাত্রীদের সেবা দিয়ে যাচ্ছি। যাত্রীরা যাতে দ্রৃত ভারত গমন করতে পারে তার জন্য সকল ডেস্কে বিরতীহিন ভাবে কাজ চলছে।