হেনোলাক্সের মালিক দম্পতির কাছে তিন কোটি টাকা পাওনা ছিল আনিসের

প্রসাধনসামগ্রী প্রস্তুতকারী কোম্পানি হেনোলাক্সের মালিক মো. নুরুল আমিন ও তোর স্ত্রী ফাতেমা আমিনের কাছে ব্যবসায়ী গাজী আনিসুর রহমান তিন কোটি টাকা পেতেন বলে জানিয়েছেন র‌্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।

বুধবার (৬ জুলাই) দুপুরে গাজী আনিসের সঙ্গে আমিন-ফাতেমা দম্পত্তির ব্যবসায়িক লেনদেন, বিনিয়োগসহ সার্বিক বিষয়ে কারওয়ার বাজার র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলন করে র‌্যাব। এসময় তিনি একথা জানান।

খন্দকার আল মঈন বলেন, গাজী আনিসের সঙ্গে লেনদেনে টাকার পরিমাণ নিয়ে আসামিদের আপত্তি আছে। লেনদেন হয়েছে তা তারা স্বীকার করেছেন। বিভিন্ন সময়ে চেকে ও নগদে ৭৬ লাখ টাকা পরিশোধ করেছেন। তবে গাজী আনিসের লভ্যাংশসহ ন্যায্য পাওনা তিন কোটি টাকা। এটা নিয়েই মূলত তাদের মধ্যে একাধিকবার বাকবিতণ্ডা হয়েছে।

তিনি বলেন, গত ৪ জুলাই বিকেল পৌনে ৫টার দিকে জাতীয় প্রেসক্লাব এলাকায় ছাত্রলীগের সাবেক এ নেতা ও ব্যবসায়ী আনিসুর রহমান নিজের গাঁয়ে পেট্রোল জাতীয় দাহ্য পদার্থ ঢেলে আগুন লাগিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে নেওয়া হয়। সেখানে তাকে আইসিইউতে ভর্তি করা হয়। পরে মঙ্গলবার (০৫ জুলাই) ভোর সোয়া ৬টায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে মারা যান তিনি।

আত্মহত্যার আগে ফেসবুকে এক পোস্টে আনিস দাবি করেন, হেনোলাক্স গ্রুপে এক কোটি ২৬ লাখ টাকা বিনিয়োগ করে প্রতারণার শিকার হন তিনি। মৃত্যুর পর রাজধানীর শাহবাগ থানায় হেনেলাক্স কোম্পানির চেয়ারম্যান নুরুল আমিন ও তার স্ত্রী এবং প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফাতেমা আমিনের বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগে মামলা করেন আনিসের বড় ভাই নজরুল।

এ ঘটনায় নুরুল আমিন ও ফাতেমা আমিনকে মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর রাজধানীর উত্তরা থেকে গ্রেফতার করে র‍্যাব। এদিন সংবাদ সম্মেলনে বাহিনীটি জানায়, ১ কোটি ২৬ লাখ টাকা দিলেও তা লাভ-আসল মিলে দাঁড়ায় প্রায় ৩ কোটি টাকায়। যার মধ্যে ৭৪ লাখ টাকা ফেরত দিয়েছেন নুরুল আমিন। ৪ তারিখ চেক দেওয়ার কথা স্বীকারও করেছে গ্রেফতারকৃত দম্পতি।