দুই মাস পর বেনাপোল দিয়ে পিঁয়াজ আমদানি শুরু

দুই মাস পরে আবারো বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারত হতে শুরু হয়েছে পিঁয়াজ আমদানি। প্রতি মেট্রিক টন ১৫০ ইউএস ডলার মুল্যে ঢুকছে পিয়াজ। আমদানি মুল্যের উপর ১০ শতাংশ শুল্ককর পরিশোধ করে প্রতি কেজি পিঁয়াজের আমদানি খরচ পড়ছে ৩৪ টাকা।

আর বাজারে এ পিঁয়াজ বিক্রী হচ্ছে ৩৬ টাকায়। আমদানি স্বাভাবিক হলে আরো দাম কমবে বলছেন আমদানি কারকেরা।

এদিকে, আমদানির খবরে প্রথম দিনেই খুরচা বাজারে দেশি পিয়াজের দর কেজিতে ৫ টাকা কমে বিক্রী হচ্ছে ৪০ টাকায়। তবে গত বছরের তুলনায় এবছর আমদানি বন্ধে খুব একটা দাম বাড়েনি বাজারে। দেশে বন্যা পরিস্থিতিতে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ায় সংকটের আশঙ্কা ও ঈদে যাতে উধ্বগতি না হয় এতে সরকার পিঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেয়।

বেনাপোল বন্দরের উপপরিচালক (প্রশাসন) আব্দুল জলিল জানান, দু মাস পরে আবারো পিঁয়াজ আমদানি শুরু হয়েছে। যাতে দ্রুত বন্দর থেকে খালাস নিতে পারে ২৪ ঘন্টা বন্দর খোলা থাকছে।

আমদানি কারক গাজী শামিম উদ্দীন জানান, সরকার ইমপোর্ট পারমিট দেওয়ায় পিঁয়াজ আমদানি শুরু হয়েছে। বেনাপোল বন্দর থেকে আমদানিকৃত পিঁয়াজ কেজি ৩৫ টাকায় বিক্রী করা হচ্ছে। আমদানি ও সরবরাহ বাড়লে আরো দাম দাম কমে আসবে।

সাধারণ পিঁয়াজ ক্রেতা জসিম জানান, গতকালকেও দেশি পেঁয়াজ কেজি ৪৫ টাকায় কিনেছি। আমদানি খবরে আজ কেজিতে ৫ টাকা কমে বিক্রী হচ্ছে ৪০ টাকায়। কিছুটা কম দামে পেয়ে উপকার হচ্ছে।

খুরচা পিঁয়াজ বিক্রেতা আলিম জানান, দেশি পেঁয়াজের দাম কমতে শুরু করেছে। আমদানি স্বাভাবিক হলে দাম আরো কমে যাবে। তবে ভারতীয় পিঁয়াজ আমদানিতে দেশি পিঁয়াজে তাদের লোকশানে পড়তে হয়েছে।