যশোরে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ডাকাতি কালে একজন আটক

jessore atok map

ডিবি পুৃলিশ পরিচয়ে ডাকাতি কালে যশোর বেনাপোল সড়কের চাচড়া ইউনিয়নের বড় মেঘলা গ্রামের দরগা ফিলিং স্টেশনের পূর্বপাশ থেকে মিজানুর রহমান (৫০) নামে এক প্রতারককে আটক করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৭ জুলাই) ভোর চারটার দিকে সদর উপজেলার চাচড়া ইউনিয়নের বড় মেঘলা দরগা ফিলিং ষ্টেশনের পূর্ব পাশে অভিযান চালিয়ে ডিবি পুলিশ তাকে আটক করে। আটক মিজানুর রহমান ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুর উপজেলার উজ্জ্বলপুর গ্রামের মৃত মোজাহার মন্ডলের ছেলে। বর্তমানে নতুন খয়েরতলা হর্টিকালচার লিজেন্ড প্রাইমারি স্কুলের পিছনে দুইতলা ভবনে ভাড়া থাকে।

পুলিশ জানায়, মিজানুর রহমান দীর্ঘদিন ধরে যশোর নতুন খয়েরতলা হর্টিকালচার লিজেন্ড প্রাইমারি স্কুলের পিছনে দুই তলা ভবনে ভাড়া থেকে ছিনতাই, ডাকাতিও চাঁদাবাজির মত ঘটনার সাথে সম্পৃক্ত ছিলো। আটক অভিযানের সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে তার সহযোগী আবু তালেব (৫২), কাজল মিয়া মাসুদ (৪৮), হাসান (৩৫), বাদশা (২৮) পালিয়ে যায়। এদের মধ্যে আবু তালেব ঝিনাইদহ মহেশপুর এলাকার নজরুল ইসলামের ছেলে, সে যশোর পালবাড়ি মসজিদ গলিতে ভাড়া থাকেন। কাজল মিয়া মাসুদ (প্রাইভেটকার ড্রাইভার) যশোর সদর উপজেলার সলুয়া আফরার মোড় এলাকার বাসিন্দা। হাসান ও বাদশা শার্শা উপজেলার নাভারন এলাকার বাসিন্দা।

যশোর ডিবি পুলিশের অফিসার ইনচার্জ রুপণ কুমার সরকার জানান, বৃহস্পতিবার রাতে স্বপন কুমার সরকার ও শামীম হোসেন নামে দুই জন ব্যক্তি ঢাকা থেকে ঢাকা (মেট্রো-গ-১৫-১৯১৫ নাম্বারের) একটি বাস যোগে সাতক্ষীরা যাওয়ার উদ্দেশ্যে যশোরে এসে পৌঁছায়। ওই বাসটি যশোর সদর উপজেলার চাচড়া ইউনিয়নের বড় মেঘলা দরগা ফিলিং ষ্টেশনের পূর্ব পাশে পৌঁছুলে আটক মিজানসহ ছয় থেকে সাতজনের একটি দল সাদা রংয়ের একটি মাইক্রোবাস ও মোটরসাইকেল নিয়ে নিজেদের ডিবি পুলিশ পরিচয় দিয়ে বাসটির নিয়ন্ত্রনে নেয়। এরপর কযয়েকজন দ্রুত গতিতে বাসের ভিতরে উঠে স্বপন নামে এক ব্যাক্তির কাছে অবৈধ মালামাল আছে, এ কথা বলে তার দেহ তল্লাশি করতে থাকে।

অন্যদিকে চক্রের বাকি সদস্যরা হাসানে নামে মামলার ওয়ারেন্ট আছে বলে তাকে বাস থেকে নামিয়ে মাইক্রোবাসে উঠানোর চেষ্টা করে। মাইক্রো বাসে উঠানোর সময় ধস্তাধস্তির বিষয়টি রাতে টহলরত ডিবি পুলিশের দৃষ্টিগোচর হয়। এ সময় ডিবি পুলিশের সদস্যরা ঘটনাস্থলে যেয়ে মিজানকে আটক করে। অন্যরা পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় যশোর কোতয়ালি থানায় আটক ও পলাতকদের নামে একটি হয়েছে। মামলার বাদি সাতক্ষীরা জেলার মধুমল্লারডাঙ্গী গ্রামের মৃত অনিল চন্দ্র সরকার ও ঝর্ণা রানি সরকারের ছেলে স্বপন কুমার সরকার (৪৭)। বাকি আসামিদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে তিনি জানান।