জয়ের জন্য বাংলাদেশের দরকার ১৩৫ রান

দুর্দান্ত একটা শুরুই এনে দিয়েছিলেন মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। এমনিতে তিনি মূল বোলার হিসেবে বেশির ভাগ ম্যাচেই খেলেন না।

কিন্তু তার বলে খেই হারালেন জিম্বাবুয়ের ব্যাটাররা। একে-একে উইকেট দেন পাঁচজন। সেটাকে অবশ্য পরে কাজে লাগাতে পারেননি বাকি বোলাররা।
রোববার হারারেতে তিন ম্যাচ সিরিজের দ্বিতীয়টিতে বাংলাদেশের সামনে ১৩৫ রানের লক্ষ্য দিয়েছে জিম্বাবুয়ে। টস জিতে ব্যাট করতে নেমে এই লক্ষ্য দেয় তারা।

সিরিজে বাঁচিয়ে রাখার মিশনে নেমে শুরুটা স্বপ্নের মতো হয় বাংলাদেশের। প্রথম বলেই রেজিস চাকাভাকে নুরুল হাসান সোহানের ক্যাচ বানান মোসাদ্দেক। ওই ওভারের শেষ বলেই আউট করেন আগের ম্যাচের হাফ সেঞ্চুরিয়ান ওয়েসলি মাদাভিরাকেও। ৫ বলে ৪ রান করে সাজঘরে ফেরত যান তিনি।

এক ওভারে দুই উইকেট নেওয়ার পর মোসাদ্দেক সাফল্য পান নিজের দ্বিতীয় ওভারেও। এবার তার শিকার হন ক্রেইগ আরবিন। ১০ বলে ১ রান করে সাজঘরে ফেরত যান স্বাগতিক অধিনায়ক।

নিজের তৃতীয় ওভারের চতুর্থ বলে মোসাদ্দেক ফেরান শেন উইলিয়ামসকে। ৭ বলে ৮ রান করা এই ব্যাটারের ক্যাচ নিজেই নেন তিনি। ইনিংসের সপ্তম ওভারে মিল্টন সাম্বাকে ফিরিয়ে নিজের ফাইফার পূর্ণ করেন মোসাদ্দেক। তার আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের প্রথম ও টি-টোয়েন্টি কোনো বাংলাদেশির চতুর্থ পাঁচ উইকেট এটি।

এরপর অবশ্য ঘুরে দাঁড়ায় জিম্বাবুয়ে। ৩১ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে বিপদে থাকা দলকে উদ্ধার করেন রায়ান বার্ল ও সিকান্দার রাজা। দুজন মিলে গড়েন ৮০ রানের জুটি। ৩১ বলে ৩২ রান করে আউট করা বার্লকে বোল্ড করে তাদের জুটি ভাঙেন হাসান মাহমুদ।

সিকান্দার রাজাও বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। ৫৩ বলে ৬২ রান করে মোস্তাফিজুর রহমানের বলে মুনিম শাহরিয়ারের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে আউট হন তিনি। তাতে জিম্বাবুয়ের ইনিংসও খুব একটা লম্বা হয়নি।