যশোরে ১২ মামলার রায় ঘোষনা

যশোরের একটি আদালত পৃথক ১২ মামলায় রায় ঘোষনা করেছে। রায়ে ১০ মামলায় ১০ আসামিকে পৃথক মেয়াদে কারাদন্ড ও অর্থদন্ড, অপর দুই মামলায় দুইজনকে খালাশ প্রদান করেছে। বুধবার জেলা যুগ্ম দায়রা জজ শিমুল কুমার বিশ্বাস এ আদেশ দেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন এপিপি ভীম সেন দাশ।
আদালত সূত্র জানায়, চেক ডিজ অনার মামলায় যশোর শহরের ঘোপ জেল রোডের মৃত মহিদুল ইসলামের স্ত্রী আফরোজা বেগমের এক বছরের বিনাশ্রম কারাদন্ড ও ২৫ লাখ টাকা অর্থদন্ড, মণিরামপুর উপজেলার বালিধা গ্রামের আব্দুর রহমানের ছেলে আবুল বাশারের এক বছরের বিনাশ্রম কারাদন্ড ও ১০ লাখ টাকা অর্থদন্ড, কেশবপুর উপজেলার ত্রিমোহীনি গ্রামের মৃত আব্দুর রাজ্জাকের মেয়ে রেশমা খাতুনের এক বছরের বিনাশ্রম কারাদন্ড ও একলাখ টাকা অর্থদন্ড, খুলনা শহরের হেরাজ মার্কেট এলাকার আসাদুজ্জামানের ছেলে শেখ আলমগীর হোসেনের দুই মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, অভয়নগর উপজেলার চেঙ্গুটিয়া গ্রামের শরিফুলের স্ত্রী রাবেয়াকে তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড ও এক লাখ টাকা অর্থদন্ড, মণিরামপুর উপজেলার মাঝপাড়া গ্রামের আব্বাস আলীর মেয়ে পলাতক নাজমা খাতুনের ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড ও ৪৮ হাজার ১শ’৬০ টাকা অর্থদন্ড দেয়া হয়।
এছাড়া মাদক মামলায় অভয়নগর উপজেলার পশ্চিমপাড়া রেল বস্তির মৃত নাদের শানার ছেলে সিরাজুল ইসলাম শানাকে তিন বছরের সশ্রম কারাদন্ড ও এক হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক মাসের সশ্রম কারাদন্ড, চৌগাছা উপজেলার বেড় গোবিন্দপুর গ্রামের হাবিল হকের ছেলে সাইফুল ইসলামের দুই বছরের সশ্রম কারাদন্ড এক হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও মাসের সশ্রম কারাদন্ড এবং বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলায় কেশবপুর উপপজেলার মধ্যকুল গ্রামের মৃত ইসহাকের স্ত্রী ফরিদা বেগম ওরফে নুরজাহানকে দুই বছরের সশ্রম কারাদন্ড ও একহাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক মাসের সশ্রম কারাদন্ডের আদেশ দেয়া হয়। আসামিরা সবাই পলাতক রয়েছেন।
এছাড়া আরেকটি মামলায় চৌগাছা উপজেলার রামকৃষ্ণপুর গ্রাামের দুলু বিশ্বাসের স্ত্রী আকলিমা খাতুনকে এক বছরের সাজা দিয়ে আট শর্তে প্রবেশনে মুক্তি দেয়া হয়েছে। অপর দুই মামলায় দুই আসামির খালাশ প্রদান করেছে আদালত।