নারীকে মারপিট ও গর্ভের সন্তান নষ্টের অভিযোগে স্বামী ও শাশুড়ির বিরুদ্ধে যশোর আদালতে মামলা হয়েছে। রোববার বাঘাপাড়ার নরসিংহাপুর গ্রামের আব্দুস সাত্তারের মোল্যার মেয়ে রেহেনা খাতুন এ মামলা করেন। সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক পলাশ কুমার দালাল অভিযোগের তদন্ত করে পিবিআইকে প্রতিবেদন জমা দেয়ার আদেশ দিয়েছেন। আসামিরা হলো শহরের ঘোপ নওয়াপাড়া রোডের বাবুল ও তার মা খায়রুন্নেছা।
মামলার নথিতে উল্লেখ করা হয়েছে, ২০০৫ সালে বাবুল পারিবারিকভাবে রেহেনা খাতুনকে বিয়ে করেন। একটি কন্যা সন্তান জন্ম নেয়ার পর যৌতুকের দাবিতে রেহেনার উপর বাবুল মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন শুরু করেন। যৌতুকের দাবি মেটাতে ব্যর্থ হওয়ায় রেহেনাকে সন্তানসহ পিতার বাড়ি তাড়িয়ে দেয় বাবুল।
দীর্ঘ ১২ বছর পর বাবুল তার স্ত্রী সন্তানকে বাড়ি নিয়ে পুনরায় সংসার শুরু করেন। চলতি বছরে রেহেনা অন্তঃসত্ত্বা হয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে শাশুড়ি ও স্বামী। গর্ভের সন্তান নষ্ট করার জন্য তারা চাপ দিতে থাকেন। রেহেনা রাজি না হওয়ায় গত ১২ জুন আসামিরা রেহেনাকে মারপিট ও জোর করে সন্তান নষ্টের ওষুধ খাওয়ায়। পরদিনই রেহেনার গর্ভপাত হয়। এরপর তারা রেহেনাকে বাড়িতে আটকে রাখেন। বিষয়টি রেহেনার মেয়ে পালিয়ে তার নানা বাড়ি যেয়ে সংবাদ দেয়। ১৩ আগস্ট রেহেনাকে তার স্বামীর বাড়িতে থেকে উদ্ধার করে স্বাজনেরা পিতার বাড়ি নিয়ে যায়।