যশোর দড়টানা ভৈরব চত্বরে নেতৃত্বে বিএনপির খুলনা বিভাগীয় ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিতকে হত্যা চেষ্টা চালিয়েছে সন্ত্রাসীরা। আজ রোববার বেলা ৪ টার কিছু সময় পর সন্ত্রাসীর তাকে হত্যার চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে তার ব্যবহৃত সাদা রংয়ের মাইক্রোবাস ভাংচুর করে। পরে তার ঘোপ পিলু খান সড়রস্থ তার বাস ভবনে পুনরায় হামলা করে। গণ মাধ্যম কর্মীদের মোটর সাইকেল ভাংচুর করেছে সন্ত্রাসীরা।
এছাড়া জেলা বিএনপি কার্যালয় ব্যাপক ভাংচুর চালিয়ে সন্ত্রাসীরা। শতাধিক সন্ত্রাসী এই হত্যা প্রচেষ্টাসহ তার বাস ভবনে হামলার মিশনে অংশ নেয়। রোববার বেলা ৪টার কিছু সময় পর অনিন্দ্য ইসলাম অমিত তার মুজিব সড়ক দিয়ে তার বাস ভবনে যাচ্ছিলেন। তার গাড়িটি দড়াটানা ভৈরব চত্বরে পৌঁছানো মাত্র সন্ত্রাসীরা গতিরোধ করে। এ সময় সন্ত্রাসীরা তাকে গাড়ির ভেতর থেকে নামানোর চেষ্টা চালায়।
প্রকাশ্যে একদল সন্ত্রাসী আগ্নোয়াস্ত্রও অস্ত্র উচিয়ে গুলি করতে উদ্যাত হয়। তাকে হত্যা করতে ব্যর্থ হয়ে সন্ত্রাসীরা তাদের হাতে থাকা জিআই পাইপ, ক্রিকেট স্ট্যাম্প,লোহার রড দিয়ে অনিন্দ্য ইসলাম অমিতের গাড়ি ভেঙে দেয়। বাসার সামনে অদূরে রাখা হাসপাতালে রোগী নিয়ে আসা প্রাইভেট চালক আব্দুর রউফের ভাড়াই চালিত প্রাইভেটটি ভেঙে দেয়। সেখান থেকে তিনি বাড়ি ফেরা মাত্রই সন্ত্রাসীর তার বাস ভবনে গিয়ে হামলা করে। হামলা পেছনে পুলিশে বিশাল একটি গাড়ি বহর ছিল। তার বাস ভবনের চতুর দিক থেকে ইট পাটকেল নিক্ষেপ করে গেট ভেঙে ভেতরে প্রবেশের চেষ্টা চালায়। তার বাস ভবনকে লক্ষ্য করে কয়েক রাউন্ড গুলি ছোড়ে।
সন্ত্রাসী প্রথমে তার বাস ভবনের ডান দিক থেকে আক্রমণ করে । তার বাস ভবনের সামনে রাখা গণ মাধ্যম কর্মীদের দুটি মোটর সাইকেল ভাংচুর করে। এছাড়া দলীয় নেতা কর্মীদের রাখা তিন টি মোটর সাইকেল ভাংচুর করে। পরে সন্ত্রাসীরা জেলা বিএনপি কার্যালয়েে ব্যাপক ভাংচুর চালায় বলে কার্যালয়ের আশপাশের ব্যবসায়ীসহ ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান। সন্ত্রাসীরা জেলা বিএনপি কার্যালয়ে থাকা আসবাব পত্র,বেগম খালেদা জিয়া, সাবেক জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ও মন্ত্রী তরিকুল ইসলামের ছবি ভাঙচুর করে।
