রমনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার এবং বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে অনুসন্ধান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এজন্য অনুসন্ধানের অনুমোদন ও অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা নিয়োগ করেছে কমিশন।
গত ১৭ আগস্ট অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর আজ রোববার দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে জারিকৃত এক আদেশে সংস্থাটির সহকারী পরিচালক নিয়ামুল আহসান গাজীকে অনুসন্ধান কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
গত ১০ আগস্ট ব্যারিস্টার সায়েদুল হক সুমন রমনা মডেল থানার ওসির বিরুদ্ধে অনিয়ম, দুর্নীতির একটি অভিযোগ হাইকোর্টে পেশ করলে হাইকোর্ট অভিযোগটি দুদকে জমা দেওয়ার পরামর্শ দেন। হাইকোর্টের পরামর্শ অনুযায়ী ব্যারিস্টার সুমন ১১ আগস্ট ওসির বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ কমিশনে জমা দেন। তারই আলোকে কমিশন ওই ওসির বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার করে, দুর্নীতির মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগটি অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
এক প্রতিবেদন বলা হয়, ওসি মনিরুল ইসলাম ঢাকায় আট তলা বাড়ি করেছেন। বানাচ্ছেন আরেকটি ডুপ্লেক্স বাড়ি। ঢাকার কেরানীগঞ্জ ও মুন্সিগঞ্জে তার রয়েছে চারটি প্লট। বাড়ি, প্লটসহ এ বিপুল সম্পদের মালিক তিনি। রাজধানীর মোহাম্মদপুর হাউজিং সোসাইটিতে এক মুক্তিযোদ্ধার বাড়ি দখলেরও অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।