জনবান্ধব কর্মসূচিতেও সারাদেশ রক্তাক্ত করেছে সরকার: রিজভী

জনবান্ধব কর্মসূচিতেও সরকারের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, যুবলীগ, ছাত্রলীগ সারাদেশ রক্তাক্ত করেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

শুক্রবার (৯ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের ৪৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে রাজধানীর নয়াপল্টনে মহিলা দল আয়োজিত র‌্যালি পূর্ব সমাবেশে তিনি এ মন্তব্য করেন।

২২ আগস্ট থেকে সারাদেশে বিএনপি জনবান্ধব কর্মসূচি পালন করছে উল্লেখ করে রিজভী বলেন, জ্বালানি তেলের মূল্য অস্বাভাবিকভাবে বাড়ানোর প্রতিবাদে বিএনপি সারাদেশে কর্মসূচি পালন করছে। সরকার জনগণকে দুর্ভিক্ষের মধ্যে ফেলে দেওয়ার যে ষড়যন্ত্র করেছে তার প্রতিবাদে আমাদের কর্মসূচি চলছে।

 

এটা তো কোনো ব্যক্তিগত কর্মসূচি ছিল না। কিন্তু এ কর্মসূচিও বানচাল করার জন্য সরকারের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও তার দলীয় ছাত্রলীগ-যুবলীগ সারাদেশ রক্তাক্ত করেছে।

 

তিনজনকে হত্যা ও অসংখ্য নেতাকর্মীকে আহত করেছে।

প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর নিয়ে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব বলেন, প্রধানমন্ত্রী পার্শ্ববর্তী দেশে গেছেন, যেতেই পারেন। তার কয়েকদিন আগে তার পররাষ্ট্রমন্ত্রী যে কথা বলেছেন সেটা যে মিথ্যা ছিল এটা ভাবার কোনো কারণ নেই। কারণ প্রধানমন্ত্রী বিরোধীদলের নেতাকর্মীদের হত্যা করে ভালো করেই জানেন অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন হলে তিনি জিততে পারবেন না। কাজেই তাকে ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য অন্য কোনো পদ্ধতি নিতে হবে।

 

সরকারের সমালোচনা করে বিএনপির এ মুখপাত্র বলেন, এখন মিছিল-মিটিং দেখা মাত্রই গুলি করা হচ্ছে। সামান্য একটা মিছিল-মিটিংয়ের মতো কর্মসূচিতে সরকার গুলির মতো প্রাণঘাতী কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। সেই গুলির আঘাতে কারও চোখ নষ্ট হচ্ছে আবার অনেকেই পঙ্গুত্ব বরণ করছে। ওরা (সরকার) কখনও সুষ্ঠু নির্বাচনে বিশ্বাস করবে না, নির্দলীয় নির্বাচনে বিশ্বাস করবে না। ওরা অন্যের ওপর ভর করে আবারও ক্ষমতায় থাকতে চায়। অন্যের আশ্রয়ে, অন্যের সমর্থনে ক্ষমতায় থাকতে চায়।

 

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, সেলিমা রহমান, মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাস, সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদ, সিনিয়র যুগ্ম-সম্পাদক হেলেন জেরিন খান প্রমুখ।