যশোর পৌরসভার কর কর্মকর্তা আলাউদ্দিনের বিরুদ্ধে চরম স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ

যশোর পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডের করের দায়িত্বরত জনৈক আলাউদ্দিনের চরম স্বেচ্ছাচারিতা কারণে নতুন হোল্ডিং ট্যাক্স অন্তর্ভূক্ত করতে পারেননি পুরাতন কসবার বাসিন্দা রুমা আক্তার।

অভিযোগে জানা গেছে, ২০০৭ সালের অক্টোবর মাসের ৭ তারিখে জমির মালিক জনৈক মাখনের কাছ থেকে ০৪ শতকের বেশী জমি ক্রয় করেন পুরাতন কসবার বাসিন্দা আবুল কালাম। তার হোল্ডিং নং হয়-১৪৪৪-৩। তিনি সেই মোতাবেক হোল্ডিং ট্যাক্স দিয়ে আসছেন। সাম্প্রতিক সময়ে তিনি জমি বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নিলে একই এলাকার বাসিন্দা রুমা আক্তার (স্বামী শওকত আলী) পরপর ৩টি রেজিস্ট্রী দলিলমূলে মাত্র ৩.৩০ শতক জমি ক্রয় করেন।

বাকি প্রায় ০১ শতক জমি আবুল কালাম নিজেই দখল ভোগ করতে থাকে। সেখানে তারা ঘর বাড়ী করে বসবাস করতে থাকেন। পরবর্তীতে রুমা আক্তার টিনের একটি ঘর করে আপাতত বসবাস করতে থাকে। বর্তমানে তিনি বাড়ী নির্মাণ করার জন্য ব্যাংক থেকে লোন নেবার জন্য প্রস্তুতি নিলে হোল্ডিং ট্যাক্স সহ অন্যান্য কাগজপত্রাদী প্রয়োজন, যেকারণে তার ভাই আইয়ুব হোসেন পৌরসভার করের দায়িত্বরত আলাউদ্দিন এর কাছে গিয়ে নতুন হোল্ডিং এর জন্য কথা বললে তিনি হোল্ডিং ট্যাক্সের রসিদ দেখে বলেন, আপনার সম্পূর্ণ টাকা পরিশোধ করতে হবে। আবুল কালাম টাকা-কেন আমি দেব বা বেআইনীভাবে কথা বলছেন কেন। কেননা আবুল কালাম সম্পূর্ণ জমি বিক্রি করিনি তিনি উত্তেজিত হয়ে উঠেন এবং বলেন, আইন তাকে শিখাচ্ছেন। এছাড়াও পাশের টেবিলের দু’জন কর্মকর্তা আলাউদ্দিনের চড়া সুরে কথা বলেন।

মনে হচ্ছে, কতিপয় কর্মচারী-কর্মকর্তার দাপটে পৌরবাসী অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। এক কথায়, পৌরবাসী জিম্মি হয়ে পড়েছে। পৌরসভায় তাদের আচার-আচরণ দেখে মনে হচ্ছে, সেবা তো হয়না উপরোন্ত পৌরবাসী নানা দূর্ভোগসহ নানা হয়রানী পোহাতে হচ্ছে। এই বিষয়টি পৌরসভার প্যানেল চেয়ারম্যান-১ মোকছিমুল বারী অপুর সাথে কথা বললে তিনি জা‘নান ঘটনার সাথে যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।