যশোর মনিহার কমপ্লেক্সে দোকান ঘর দখলের প্রতিবাদে অভিযোগ

Jessore map

যশোর মনিহার কমপ্লেক্সে দোকান ঘর দখলের প্রতিবাদে কোতয়ালি থানায় পৃথক দুটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। শহরের নাজির শংকরপুর পিয়ারী মোহন রোডের মৃত আব্দুল মালেক ও ফরিদা বেগমের ছেলে এ বি এম কামরুজ্জামান ও ঘোপ নওয়াপাড়া রোডের মৃত মোতাহার হোসেনের ছেলে মোখলেছুর রহমান পৃথক দুটি অভিযোগ করেন।

৮ সেপ্টেম্বর দায়েরকৃত অভিযোগে মোখলেছুর রহমান বলেন, মনিহার কমপ্লেক্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মৃত সিরাজুল ইসলামের ছেলে জিয়াউল ইসলাম মিঠু, মোল্লাপাড়ার রশিদ, ঢাকা রোডের ফারুক বেজপাড়া আনসার ক্যাম্পের তোফাজ্জেল, শামীম, ইমরান, সিটি কলেজপাড়া বৌ বাজারের অহিদুল ইসলামের ছেলে হাবিবুল্লাহ বাবু ও শক্তি এরা প্রতারক ও ঠকবাজ মাস্তান স্বভাবের লোক। তিনি মনিহার কমপ্লেক্সের পূর্ব পাশে মার্কেটে জি এফ ই ৩/৪ ও জি এফ ডাব্লু ১৯ নং দোকান ঘর ভাড়াটিয়া থাকা অবস্থায় জনৈক এস এম হাবিবুল্লাহর ওয়ারেশগনের কাছ থেকে ৩০ লাখ টাকায় ক্রয় করেন। গত ২৮ আগস্ট বিক্রেতা তাকে ভাড়াটিয়াসহ দোকান ঘর হস্তান্তর করেন। ওই সময় আসামি ইমরান, হাবিবুল্লাহ বাবু ও শক্তি দোকানে ভাড়াটিয়া হিসেবে ছিলো। আমি দোকান ঘর ভোগ করতে থাকি। ভোগ দখল করাকালে আসামিরা যোগসাজস করে গত ৭ সেপ্টেম্বর সকালে দোকান ঘর তিনটি অবৈধ ভাবে দখল করে নেয়। কারণ জানতে চাওয়া হলে আসামিরা কোন উত্তর না দিয়ে বলে, ঘরের মালিকানা দাবি করে মনিহার কমপ্লেক্স চত্বরে আসলে খুন করে গুম করে ফেলা হবে বলে হুমকি দেয়। এ বিষয়ে স্থানীয় ভাবে সমাদানের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে থানায় অভিযোগ করেন।

অনুরুপ অভিযোগ ঘোপ নওয়াপাড়া রোডের মৃত মোতাহার হোসেনের ছেলে মোখলেছুর রহমান।

অভিযোগে তিনি বলেছেন, মনিহার কমপ্লেক্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জিয়াউল ইসলাম মিঠুর পিতা সিরাজুল ইসলামের কাছ থেকে ১৯৮৩ সালে মনিহার কমপ্লেক্সে অবস্থিত জি এফ ই-৫ দোকান ঘরটি পজিশন হিসেবে ক্রয় করি। ক্রয়ের পর থেকে মহেশপুর নামক বইয়ের দোকান ও বর্তমানে মোবাইল ওয়ান নামে পরিচালনা করে আসছি। প্রতিমাসে ভাড়া নির্দারিত সময়ে প্রদান করি। সিরাজুল ইসলাম মারা যাওয়ার পর তার ছেলে জিয়াউল ইসলাম মিঠু দোকান ঘরের ভাড়া গ্রহন করে। গত ১২ সেপ্টেম্বর দোকান ঘরের সর্বশেষ ভাড়া প্রদান করা হয়। দোকান ঘর ক্রয়ের কাগজপত্র চাইলে সম্প্রতি আসামি জিয়াউল ইসলাম মিঠু বলে পজিশনের কোন কাগজ পত্র দেয়া হবে না। ঘর ছেড়ে অন্যত্র চলে যান। প্রতিবাদ করলে আমাকে বিভিন্ন প্রকার হুমকি দেয়া হয়। সর্বশেষ গত ১৭ সেপ্টেম্বর আসমি জিয়াউল ইসলাম মিঠু, বারান্দি মোল্লা পাড়ার রশিদ, ঢাকা রোডের ফারুেকসহ অজ্ঞাত নামা ৫/৭ জন দুপুরে আমার দোকানে এসে বলে ঘর ছেড়ে দিতে। আমি প্রতিবাদ করলে আসামি জিয়াউল ইসলাম মিঠু আমার দোকানে অবৈধ ভাবে তালা লাগিয়ে দেয়। বিষয়টি সুস্ঠু সমাধানের জন্য ১৭ সেপ্টেম্বর কোতয়ালি থানায় অভিযোগ করি।