যশোরে আলম হত্যা মামলায় ভিডিও ফুটেজে দেখা যায় কিন্তু দুই জনের নাম নেই এজাহারে

যশোর সদর উপজেলার চুড়ামনকাটিতে মাদকব্যবসায়ী আলমগীর হোসেন আলম হত্যা মামলায় দুইজনকে আটক করেছে পুলিশ।
অথচ ভিডিও ফুটেজে দেখা যায় আলমকে যে তিনজন তুলে নিয়ে যাচ্ছে তার মধ্যে দুইজনের নাম মামলার এজাহারে আসেনি। এদিকে আলম হত্যাকাণ্ডকে পুজি করে প্রতিপক্ষকে ফাঁসানোর চেষ্টা চলছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা জনিয়েছেন, ‍নিহত আলমগীর হোসেন আলমের নামে তিনটি মাদক মামলা রয়েছে।
উপজেলার চুড়ামনকাটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান দাউদ হোসেন বলেন, সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল মান্নান মুন্না রাজনৈতিক প্রতিহিংসায় আমার ক্যারিয়ার নষ্ট করার অপচেষ্টা করছে।
নিহত আলম মন্ডলের ছেলে ইমন হোসেন সাংবাদিকদের জানান, তার বাবা চুড়ামনকাটি ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান (মুন্না) চাতালে কাজ করতেন। আর তার বডিগার্ড হিসাবে থাকতেন। সাবেক চেয়ারম্যান মুন্নার কারণে তার বাবা খুন হয়েছেন। তিনি এ হত্যাকাণ্ডের বিচার চান।
এদিকে, নিহতের স্ত্রী রোকসানা বেগমের বাদী হয়ে ১১ জনের নাম উল্লেখ করে কোতোয়ালী থানায় মামলা করেছেন। এতে আসামি করা হয়েছে, সদর উপজেলার ছাতিয়ানতলা গ্রামের দাউদ হোসেনের ছেলে তানভির হাসান রস্কি (৩২), মোজাম্মেল হোসেনের ছেলে মেহেদী হাসান রুনু (৩২), চুড়ামনকাটির মৃত আবু বক্কারের ছেলে মানিক (৪০), শহিদুলের ছেলে সুমন হোসেন (৩৫) , ওসমানের ছেলে মাহমুদুল হাসান মামুন (৪০), জালালের ছেলে সাদ (২৫), রবির ছেলে রকি (৩৫), বাগডাঙ্গা গ্রামের মজনুর ইকরামুল (৩৯), শ্যামনগর গ্রামের আশাড়ের ছেলে বাদল (৪২), সৈয়দ আলীর ছেলে আমিরুল (৪৫) ও মোজাম্মালের রানাকে (৪০)।
কিন্তুু ভিডিও ফুটেজে দেখা যাচ্ছে আলম মন্ডলকে তুলে নিয়ে যাচ্ছে তিনজন। তার মধ্যে মামুন ও সাইদের নাম মামলার এজাহারে নেই।
চুড়ামনকাটি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান দাউদ হোসেন বলেন, একটি হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে অবশ্যই এই হত্যাকাণ্ডের বিচার চাই। অথচ সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল মান্নান মুন্না ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করছেন। আমার রাজনৈতিক ক্যারিয়ার নষ্ট করার জন্য একটি হত্যাকাণ্ডের মত ঘটনা ভিন্ন খাতে নেয়ার চেষ্টা করছেন। ভিডিও ফুটেজে তিনজনকে দেখা যাচ্ছে অথচ এজাহারে তাদের নামই নেই। এর সব কিছুর মূলে রয়েছে মুন্না। যারা এই হত্যার সময় ছিলেন না তাদের নামে হয়রানিমূলক মামলা দেয়া হয়েছে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) সালাউদ্দিন বলেন, আলমগীর হোসেন আলমের নামে তিনটি মাদক মামলা রয়েছে। তদন্তের স্বার্থে এই মুহূর্তে আর কিছু বলা যাচ্ছে না, সব কিছু মাথায় রেখেই গভীরভাবে বিষয়টি ক্ষতিয়ে দেখা হচ্ছে।
এ বিষয়ে কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাজুল ইসলাম বলেন, মামলায় বাদী যে অভিযোগ দিয়েছেন পুলিশ সেটা গ্রহণ করেছে। তবে ভিডিও ফুটেজ যাচাই করে গভীরভাবে তদন্ত করা হবে।