তপশিলের আগেই কঠোর কর্মসূচি চান বিএনপি নেতারা

bnp logo

ঢাকায় আগামী ১০ ডিসেম্বর মহাসমাবেশের পর সরকার পতনের এক দফার আন্দোলনে যাওয়ার প্রস্তাব করেছেন সিলেট ও ময়মনসিংহ বিভাগের বিভিন্ন জেলা এবং মহানগরের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকরা। তাঁরা বলেছেন, ২০২৪ সালের শুরুতে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। সে ক্ষেত্রে তপশিল ঘোষণার আগে পরিস্থিতি বুঝে কঠোর কর্মসূচি, অর্থাৎ হরতাল-অবরোধের ঘোষণা দিতে হবে। আন্দোলনে জনগণকে আরও সম্পৃক্ত করতে এ কর্মসূচি ঘোষণার আগে, বিশেষ করে ঢাকার মহাসমাবেশের পরপরই নানা কর্মসূচি দেওয়ার পক্ষে মতামত দেন নেতারা।

নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার ছাড়া কোনো নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা যাবে না বলেও নেতারা মতামত দেন। গতকাল রোববার গুলশানে চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত রুদ্ধদ্বার বৈঠকে এ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। বৈঠক সূত্রে এসব কথা জানা গেছে।

আগামী সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে রাজনৈতিক পরিস্থিতি পর্যালোচনা এবং আন্দোলনের কর্মসূচি গ্রহণ করতে জেলা ও মহানগর সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকদের মতামত নিতে ধারাবাহিক বৈঠক করছে বিএনপি। আগামীকাল মঙ্গলবার পর্যন্ত এভাবে মতবিনিময় সভা করবে দলটির শীর্ষ নেতৃত্ব। আজ সোমবার রাজশাহী ও রংপুর জেলা ও মহানগরের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। এর আগে গত শনিবার চট্টগ্রাম ও খুলনা বিভাগের নেতারা মতামত দেন।

ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে বৈঠক চলে পৌনে চার ঘণ্টা। এতে লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। এ ছাড়া মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান ও সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকের বিষয়ে দলের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক কোনো বক্তব্য দেওয়া হয়নি।
গত বুধবার ১০ সাংগঠনিক বিভাগে সমাবেশের ঘোষণা দেয় বিএনপি। আগামী ১২ অক্টোবর থেকে এই সমাবেশ শুরু হবে। সব শেষে ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় সমাবেশ হবে। এসব সমাবেশসহ সব কর্মসূচি সফল করতে দ্বিধা-দ্বন্দ্ব ভুলে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার নির্দেশও দেন দলটির শীর্ষ নেতা।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, গতকালের বৈঠকে দুই বিভাগের সাংগঠনিক ও সহসাংগঠনিক সম্পাদকের পাশাপাশি জেলা ও মহানগরের দুই শীর্ষ নেতা উপস্থিত ছিলেন। সভায় সাংগঠনিক বিভাগে ঘোষিত সমাবেশে সর্বোচ্চ সংখ্যক নেতাকর্মীর উপস্থিতি চান বিএনপি হাইকমান্ড। এজন্য নানা দিকনির্দেশনা দেন ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। একই সঙ্গে জেলা ও মহানগরে কোনো কোন্দল থাকলে তা সমাধানের ওপর জোর দেন হাইকমান্ড।
একাধিক নেতা বলেন, এখন কর্মসূচিগুলোতে দলীয় নেতাকর্মীদের সক্রিয় অংশগ্রহণের পাশাপাশি সাধারণ মানুষও অংশ নিচ্ছে। কিন্তু কর্মসূচি করতে প্রশাসনের বাধা অতিক্রম করতে হচ্ছে। কর্মসূচির অনুমতি দিতে প্রশাসনের মধ্যে বিভক্তিও দেখা দিয়েছে। একজন অনুমতি দেন, অন্যজন আবার বন্ধ করে দেন। এ রকম পরিস্থিতিতে জনগণের সম্পৃক্ততা বাড়ানো গেলে প্রশাসনও নিরপেক্ষ হতে বাধ্য হবে। এ ক্ষেত্রে বিভিন্ন জেলার উদাহরণ দেন নেতারা।