শৈলকুপায় গড়াই নদীর ভাঙ্গনে বিলিন হচ্ছে ফসলি জমি

ঝিনাইদহের শৈলকুপায় গড়াই নদীর ভাঙ্গনে বিলিন হচ্ছে ফসলি জমি। এর মধ্যে মানচিত্র থেকে হারিয়ে গেছে ৬নং সারুটিয়া ইউনিয়নে রবরুলিয়া গ্রাম সহ গ্রামের বাসিন্দাদের ১ হাজার ৪০০ বিঘারও অধিক ফসলি জমি। এছাড়া ভাঙ্গনের কবলে পড়েছে একই ইউনিয়নের কৃষ্ণনগর গ্রামের অধিকাংশ ফসলি জমি। ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে কিত্তিনগর, গোসাইডাঙ্গা, ৭নং হাকিমপুর ইউনিয়নের পূর্বমাদলা, খুলুমবাড়িয়া, ৮নং ধলহরাচন্দ্র ইউনিয়নের কাশিনাথপুর, উলুবাড়িয়া, মাজদিয়াতে। হুমকিতে রয়েছে পূর্বমাদলা আশ্রয়ন প্রকল্প। ভাঙ্গন কবলিত ৬নং সারুটিয়া ইউনিয়নের কৃষ্ণনগর গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল মালেক জানান ,গড়াই নদীর ভাঙ্গন তীব্র আকার ধারন করেছে। তার চাচা সাজদ্দি মন্ডল, জেনামন্ডল, মিনা মন্ডলসহ তার সরিকদের ৬০ বিঘা ফসলি জমি সহ গ্রামের অধিকাংশ ফসলি জমি বিলিন হয়েছে নদী গর্ভে।

বাকিটাও চলে যাওয়ার উপক্রম। তিনি আরো জানান সবকিছু হারিয়ে বর্তমানে পরের জায়গায় বসবাস। ভাঙ্গন থেকে আর ৪/৫ হাত দুরেতার শেষ আশ্রয়স্থল। কর্তৃপক্ষ দ্রুতব্যবস্থা না নিলে সেটিও হারাতে হবে তার। গ্রামের অপর বাসিন্দা আশরাফ আলী জানান তাদের ১ শত বিঘারও বেশী ফসলি জমি গড়াই নদীর ভাঙ্গনে চলে গেছে বাকীটা যাওয়ার পথে। নদীগর্ভে সম্পূর্ণ বিলিন হওয়া বরুলিয়া গ্রামের বাসিন্দা আফসার সদ্দার জানান, সব কিছুহারিয়ে তারা এখন ভ’মিহীন।

তাদের গ্রামের ১ হাজার ৪০০ বিঘারও অধিক ফসলি জমিসহ গ্রামের সবকিছুই হারিয়ে গেছে নদীগর্ভে।গড়াই নদীর ওপারে তাদের জমি জেগে উঠলেও খোকশা অঞ্চলের একটি প্রভাবশালী মহলের কারনে তাদের পৈত্রিক সম্পত্তি তারা দখল নিতে পারছেনা।৬নং সারুটিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাহমুদুল হাসান মামুন জানান, তার ইউনিয়নে বরুলিয়া, কৃষ্ণনগর, কিত্তিনগর ও গোসাইডাঙ্গা গ্রামে গড়াই নদীর তীব্র ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। এরইমধ্যে বরুলিয়া গ্রামে সম্পূর্ণ বিলিন হয়েছে। নদীগর্ভে চলেগেছে কৃষ্ণনগর গ্রামের অধিকাংশ ফসলি জমি। এছাড়া ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে কিত্তিনগর ও গোসাইডাঙ্গা গ্রামে। পানি উন্নয়ন বোর্ড দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে বিলিন হবে অধিকাংশ ফসলি জমি।এছাড়া ভাঙ্গণ দেখা দিয়েছে ৭নং হাকিমপুর ইউনিয়নের মাদলা ও ৮নং ধলহরাচন্দ্র ইউনিয়নের কাশিনাথপুর, মাজদিয়া ও উলুবাড়িয় গ্রামে। মাজদিয়া গ্রামের মহর আলী বিশ্বাস জানান, ৮নং ধলহরাচন্দ্র ইউনিয়নে তার গ্রামসহ নদীপাড়ের বিভিন্ন গ্রামে দেখা দিয়েছে ভাঙ্গন। ভাঙ্গন রোধে কর্তৃপক্ষ দ্রুতব্যবস্থা না নিলে নদী গর্ভে চলে যাবে কয়েক গ্রামের অধিকাংশ ফসলি জমি।