মহেশপুরে মধ্যযুগীয় বর্বরতার স্বীকার বিদেশ ফেরত এক যুবক,গ্রেফতার-১

ঝিনাইদহের মহেশপুরে বিদেশ ফেরত বকুল (৩০) নামের এক যুবককে শশুর বাড়ীতে নিয়ে গাছে বেঁধে মধ্যযুগীয় কায়দায় পেটানো হয়েছে। এক পর্যায়ে আহত বকুল জ্ঞান হারিয়ে ফেললে তাকে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।সেখানেই সে এখন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। এঘটনাটি ঘটেছে শনিবার বিকালে ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার ভোলাডাঙ্গা গ্রামে।অপরদিকে গাছে বেঁধে মধ্যযুগীয় কায়দায় পেটানোর ঘটনায় পুলিশ রাতেই ভোলাডাঙ্গা গ্রাম থেকে খাইরুল ইসলাম নামের একজনকে আটক করেছে।এলাকাবাসী ও থানা সূত্রে জানা গেছে,শনিবার বিকালে মালয়েশিয়া ফেরত যুবক বকুলকে তার স্ত্রী ও পরিবারের লোকজন ধরে নিয়ে যায়। পরে স্ত্রী ও তার পরিবারের সদস্যরা বাড়ীতে গাছের সাথে দড়ি দিয়ে বেঁধে মধ্যযুগী কায়দায় নির্যাতন করে।সেসময় পিটিয়ে তারা বকুলের হাত,পা ভেঙ্গে দেয়।এসময় বকুলের একটি চোঁখও তারা নষ্ট করে দিয়েছে বলে জানান বকুলের পরিবারের সদস্যরা।পরিবারের সদস্যরা আরো জানান,মহেশপুর উপজেলার ভোলাডাঙ্গা গ্রামের খোদা বক্সের ছেলে বকুল ৭/৮ বছর আগে একই গ্রামের লুৎফর রহমানের মেয়ে লতিফা খাতুনকে বিয়ে করে। পরে স্ত্রীকে রেখে মালয়েশিয়া পাড়ি জমায় বকুল। বকুল বিদেশে থাকা অবস্থায় স্ত্রীর নামে ২০ থেকে ২৫ লাখ টাকা পাঠায়। আশা ছিল দেশে ফিরে সুখের সংসার বাঁধবে। কিন্তু সে আশার গুড়ে বালি হয়েছে। দেশে ফিরে আসার কথা শুনে স্ত্রী লতিফা তাকে ডিভোর্স দিয়ে পরকীয়া প্রেমিক খালাতো ভাইকে বিয়ে করে। বকুল দেশে ফিরে স্ত্রীকে না পেয়ে টাকার জন্য শ্বশুর বাড়ীর লোকজনকে চাপ দিলে একাধিক সালিশ বৈঠক বসলেও এর কোন সুরাহা হয়নি।পরিবারের সদস্যরা আরো জানান, শুক্রবার বিকালে স্ত্রী লতিফা ও তার পরিবারের সদস্যরা রাস্তা থেকে বকুলকে জোর পুর্বক ধরে নিয়ে যায় তাদের বাড়ীতে। পরে বকুলকে বাড়ীর একটি গাছে দড়ি দিয়ে বেঁধে বকুলের স্ত্রী লতিফা,খাইরুলসহ তার পরিবারের ৬/৭ জন লাঠি ও লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর ভাবে আহত করে।এ ঘটনায় শুক্রবার রাতেই মহেশপুর থানায় ৯ জনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করা হয়। কিন্তু মামলার মুল আসামীরা এখনও রয়েছে ধরা ছোয়ার বাইরে। মহেশপুর থানায় মামলা হয়েছে। মহেশপুর থানার অফিসার ইনর্চাজ (ওসি) সেলিম মিয়া জানান, এ ব্যাপারে থানায় মামলা হয়েছে। রাতে অভিযান চালিয়ে এজাহারভুক্ত আসামী খাইরুলকে আটক করা হয়েছে।এ ঘটনার সাথে জড়িতদের দ্রুত আটক করা হবে।