ভোটে দাঁড়াতে খালেদা জিয়াকে ‘ফিট’ হতে হবে: সিইসি

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে চাইলে তাকে আইনি কাঠামোয় ফিট হতে হবে।

বুধবার (০২ নভেম্বর) নির্বাচন ভবনের নিজ দফতরে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে এমন ইঙ্গিত করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল।

খালেদা জিয়ার নির্বাচনে অংশগ্রহণ নিয়ে সিইসির মতামত জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, আপনি দাঁড়াবেন বা যিনি দাঁড়াবেন আমরা আইনানুগভাবে দেখবো। আমাদের তো কিছু আইনি কাঠামো আছে, ম্যাট্রিক্স (ছাঁচ) আছে যে আপনি দাঁড়াতে চাইলে আপনাকে সে ম্যাট্রিক্সের মধ্যে ফিটিং (খাপ খাওয়া) করতে হবে। ওই দিক থেকে অবস্থানটা কী হবে, আমরা এখনও জানি না। এ বিষয়ে আমরা কোনো মন্তব্যই করতে চাই না।

তিনি যদি মনোনয়নপত্র দাখিল করেন, তখন কী হবে-এমন প্রশ্নের জবাবে সাবেক এ আইন সচিব বলেন, মনোনয়নপত্র দাখিল করলে তখন সেটা দেখা যাবে।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও তো তিনি মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন কিন্তু বাতিল হয়েছিল, বিষয়টি সাংবাদিকরা তুলে ধরলে সিইসি বলেন, আমরা তো বলেছি যে আইনানুগভাবে পরীক্ষা করে দেখবো। যদি আদৌ প্রয়োজন পড়ে আমরা আইনানুগভাবে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখবো।

বিএনপি চেয়ারপারসন ও তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা ফেনী-১, বগুড়া-৬ ও ৭ আসন থেকে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার জন্য মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন।

সাজাপ্রাপ্ত হওয়ার কারণ দেখিয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তারা তার তিনটি মনোনয়নপত্রই বাতিল করেন। পরে রিটার্নিং কর্মকর্তাদের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল করা হলে সেটিও খারিজ করে দেন তৎকালীন কেএম নূরুল হুদা কমিশন। ফলে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে খালেদা জিয়া আর প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেননি।

বুধবার অনুষ্ঠিত স্থানীয় সরকারের শতাধিক নির্বাচনের বিষয়ে কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, সহিংসতা, ভোটাচুরি বা কারচুপি- এ ধরনের কোনো দৃশ্য আমরা দেখিনি। কোনো অভিযোগও পাইনি। আমরা এখানে পৌরসভার চারটা মনিটরিং করেছি।

তিনি আরো বলেন, আমাদের নির্বাচন কেন্দ্রে ও ভোটের এলাকায় প্রচুর লোক লাইনে দাঁড়িয়ে সুশৃঙ্খলভাবে ভোট দিয়েছেন। আমার কাছে মনে হচ্ছে এটা একটা সংস্কৃতি, যে ভোটাররা সংযমের সঙ্গে, ধৈর্যের সঙ্গে অনেক সময় দাঁড়িয়ে ভোট দিয়েছেন। এটা একটা শুভ লক্ষণ। এটা যদি ধরে রাখা যায়, তাহলে আগামীতেও এটা কাজে দেবে। এখন একটা ভোটের পরিবেশ আছে। এটাই আমাদের উদ্দেশ্য। আজকের মতো ৫ নভেম্বর অনুষ্ঠেয় ফরিদপুর-২ আসনের ভোটও আমরা মনিটর করবো।

গাইবান্ধার বন্ধ ঘোষিত নির্বাচন নিয়ে সিইসি বলেন, অনিয়ম তদন্তের প্রতিবেদন দুদিন হলো পেয়েছি। ওটা নিয়ে আমরা বসতে পারিনি। কাজেই কিছুই এখনও বলতে পারবো না। ওটা আলাদা করে দেখতে হবে। পরে নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে আপনাদের বিস্তারিত জানাতে পারবো।