যশোর কিশোর উন্নয়ন প্রতিষ্ঠানের শিশুকে নির্যাতনের অভিযোগ

যশোর শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে নূর আমিন (১১ of) নামে এক কিশোর অমানবিক নির্যাতনের শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। নির্যাতনের শিকার ওই শিশুর অভিযোগ কেন্দ্রের অনান্য বন্দিরা তাকে বিভিন্ন সময়ে মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন করতো। বৃহস্পতিবার (৩ নভেম্বর) কিশোর নূর আমিন জামিন পেলে তার মা ঝর্না বেগম ছেলেকে সাথে নিয়ে বিভিন্ন ব্যাক্তিবর্গ ও সাংবাদিকদের কাছে গিয়ে এ অভিযোগ করেন। এ সময় ওই কিশোরের শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্নও দেখা যায়।

নূর আমিন সাতক্ষীরা জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার ধলবাড়িয়া ইউনিয়নের মোড়াগাছা গ্রামের শফিকুল ইসলামের ছেলে। চুরি মামলায় গত ৮ অক্টোবর নুর আমিনকে বাড়ি থেকে আটক করে পুলিশ। এরপর আদালতের মাধ্যমে তাকে যশোর শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে রাখা হয়।

নূর আমিন অভিযোগ করে বলে, ‘যশোর শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে বন্দি হওয়ার পর থেকে কেন্দ্রের অন্যান্য সিনিয়র বন্দিরা বিভিন্ন সময়ে আমাকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করতো। ভাত কম খেলে ,বাড়ির লোকেদের সাথে কথা বললে খালি হাতে টয়লেট পরিস্কার করানোসহ, এলোপাতাড়ি মারপিট করতো।’

নূর আমিন আরও বলে, ‘বিভিন্ন সময়ে খাবার চুরির অপবাদ দিয়ে হাউজ সিনিয়র নয়ন কুমার নামে এক বন্দির নেতৃত্বে অনান্য বন্দিরা তাকে দলবদ্ধভাবে চড়, কিল ঘুষি, চোখে ঝাটা দিয়ে আঘাত এবং ভাতের প্লেট দিয়ে মারপিট করতো।’

নূর আমিনের মা ঝর্ণা বেগম অভিযোগ করে বলেন, ‘আমার ছেলে নির্দোষ। বাড়ির পাশে একটি দোকান চুরির ঘটনায় আমার ছেলেকে পূর্ব শত্রুতার জেরে ফাঁসানো হয়। এবং গত ৮ অক্টোবর পুলিশ বাড়ি থেকে আমার ছেলেকে ধরে নিয়ে যায়। এরপর আমার ছেলেকে শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে রাখলে সেখানে অনান্য বন্দিরা আমার ছেলের উপর অমানবিক নির্যাতন করেছে। আমি এর বিচার চাই। আমার ছেলের গায়ে আঘাত থেকে ঘাঁ হয়ে গেছে।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে যশোর শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রের সহকারী পরিচালক মঞ্জুরুল হাসান বলেন, তদন্তের সাথে খতিয়ে দেখা হবে।

এর আগে ২০২০ সালের আগস্টে এ আলোচিত শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রের তিন শিশুকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। এ ছাড়া বিভিন্ন সময়ে আরও কয়েকটি শিশু আত্মহত্যা ঘটনাও ঘটেছে। যে কারণে এ কেন্দ্রের ব্যবস্থাপনা নিয়ে বারবার বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন ওঠে।