সকলের সহযোগিতা পেলে বেঁচে যেতে পারে শিশু আলিফ

ঝিনাইদহের সাড়ে ৩ মাসের শিশু সন্তান আলিফের হার্টের ২টি ভাল্ব ছিদ্র হয়ে গেছে। সন্তানকে বাঁচাতে গৃহকর্মী দাদীর আহাজারি। সমাজের বিত্তবানদের সহযোগিতা পেলে বেঁচে উঠতে পারে শিশুটি।

আলিফের দাদী রওশন আরা শহরের থানা পাড়ায় বিভিন্ন বাসায় গৃহকর্মী হিসেবে কাজ করে থাকেন। এতে কোন রকমভাবে অর্ধহার অনাহারে দিন যাপন করে। তার একমাত্র ছেলে ভ্যান চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করে।

পারিবারিক ও ডাক্তার সুত্রে জানা গেছে দামুরহুদা উপজেলার নতুন বাস্তপুর গ্রামের পূর্বপাড়ার বীর মুক্তিযোদ্ধা আইয়ুব আলী সড়কের বাসিন্দা। আব্দুর রশিদের দুই সন্তানের মধ্যে ছোট ছেলে আলিফ। তার বয়স মাত্র সাড়ে ৩ মাস। জন্মের ১০ দিন পর ধরা পড়ে হার্টের সমস্যা। প্রথমে হাঁপানি নিশ্বাস বন্ধ হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়। পরে চুয়াডাঙ্গার শিশু বিশেষজ্ঞ ডাঃ মিলনকে দেখালে তিনি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে। পরীক্ষা-নিরীক্ষা রিপোর্ট হাতে পেলে বলেন জন্মগতভাবেই হার্ডের দুইটা ভাল্ব ছিদ্র আছে। পরে কুষ্টিয়াতে রেফার্ড করেন। কুষ্টিয়া হার্ট বিশেষজ্ঞ ডাক্তার আব্দুল গফুর ২ মাস চিকিৎিসা দেন তিনি । এরপর আলিফের কোন উন্নতি না হওয়ায় ঢাকায় চিকিৎসার জন্য নিয়ে যেতে বলেন। এরপর ঢাকার ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনে রেফার্ড করেন। সেখানে দেখানো হয়। এখানেও ইকোসহ বিভিন্ন রির্পোট করা হয়।

পরীক্ষা-নিরীক্ষার রির্পোট হাতে পেলে জানানো হয় আলিফের হাটে ছিদ্র আছে। সার্জারি করতে হবে। সার্জরী করতে আড়াই লক্ষ টাকা লাগবে। এছাড়া প্রতিদিন বেড ভাড়া দিতে হবে ৩ হাজার টাকা। ঢাকায় থাকতে হবে একমাস সেখানে প্রতিদিন থাকা ও ঔষূধ বাবদ প্রতিদিন খরচ হবে তিন/চার হাজার টাকা। এতে সর্বমোট খরচ হবে প্রায় সাড়ে ৪ থেকে ৫ লক্ষ টাকার মত। কিস্তু গৃহকর্মী দাদী রওশন আরার পক্ষে এত টাকা যোগাড় করা কোন ভাবেই সম্ভব নয়।

ডাক্তার বলেছেন, শিশুর ওজন ১০ কেজি হলে আমরা ৯০ ভাগ গ্যারান্টি দিতে পারবো, শিশু সুস্থ হওযার সম্ভবনা বেশী থাকবে। কিন্তু বয়স যদি ১০ কেজির কম হয় তাহলে কোন গ্যারান্টি নেই। সমস্ত খরচ ধরে সাড়ে ৪ লক্ষ টাকা থেকে ৫ লক্ষ টাকা খরচ হবে।

এ বিষয়ে ভুক্তভোগী দাদী রওশন আরা বলেন, আমি বাড়ীতে বাড়ীতে কাজ করে সংসার চালায়। এ পোতা ছেলে বাবদ ৫০ হাজার টাকার বেশী খরচ হয়ে গেছে। এখন আমি অনেক দেনা হয়ে গেছি। আমার বড় পোতা ছেলেও অসুস্থ। কিভাবে সংসার চালাবো? টাকার অভাবে পোতা ছেলের হাটের সার্জারী করতে পারছি না। অপারেশন করালে হয়তো বেঁচে যেতো তার প্রান। তাই সমাজের বিত্তবানদের নিকট আমার আকুল আবেদন পোতা ছেলেকে অর্থ দিয়ে সাহয্যে করে বাঁচিয়ে রাখার জন্য। এই নাম্বারে সাহায্যে পাঠাতে ও যোগাযোগ করতে পারেন। দাদী রওশন আরা-০১৭৯৭-২২৪১৫৯ ও ০১৯৯১-৬৭২৭২৯।