বেনাপোল স্থল বন্দরে ওপেন ইয়ার্ডে নিম্ন মানের নির্মান সামগ্রী ব্যবহারে ফাটল

বেনাপোল স্থল বন্দরের নতুন ওপেন ইয়ার্ড নির্মানে নিম্ন মানের নির্মান সামগ্রী দিয়ে নির্মান এর অভিযোগ উঠেছে। যার ফলে সপ্তাহ পার হওয়ার আগে ৬ ইঞ্চি ঢালাই ফেটে দ্বখন্ডিত হয়েছে কয়েকটি অংশে। ভারত বাংলাদেশ আমদানি রফতানি বানিজ্য সম্প্রসারনের জন্য বেনাপোল স্থল বন্দরে জায়গা সংকুলেনের জন্য ২৪.৯৮ একর জমি অধিগ্রহন করে। ২০০১৮ সালে ওই জমি অধিগ্রহন করে ক্ষতিগ্রস্থ জমির মালিকদের অর্থ পরিশোধ করে জেলা প্রশাসক এর মাধ্যেমে বন্দর কর্তৃপক্ষ।

সম্প্রতি ভারত বেনাপোল চেকপোষ্টের বিপরীতে ভারতের আইসিপি সংলগ্ন ওপেন ইয়ার্ড নির্মান কাজের জন্য বরাদ্দ দেয় দেয় ৯৪ কোটি টাকা। বেনাপোল স্থল বন্দরের কার্গো ভিহিকেল টার্মিনাল নির্মান এর কাজ পায় এস এস আর গ্রুপ নামে একটি ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান। সরেজমিনে ভারত সংলগ্ন ওই ইয়ার্ডে যেয়ে দেখা যায় নিম্ন মানের বালূ খোয়া দিয়ে ঢালাইয়ের কাজ করা হচ্ছে। গত এক সপ্তাহ আগে ওই ঢালাইয়ের কাজ করলে সেখানে দেখা গেছে বিভিন্ন জায়গায় বড় বড় ফাটল ধরেছে।

স্থানীয় বদরুল আলম বলেন, মাত্র কাজ শুরু হয়েছে এখনি ফাটল ধরেছে পণ্য বোঝাই ট্রাক উঠলে কি হবে এই ওপেন ইয়ার্ডের। প্রায় শত কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মান হচ্ছে এই ওপেন ইয়ার্ড ওয়্যার হাউজ।

শ্রমিক হেলাল উদ্দিন বলেন, আমি প্রায় ৩০ বছর এর উপর নির্মান কাজ করে আসছি এত স্বল্প সময়ে ঢালাইয়ের পর ফেটে যায় এমনটি কখনো দেখিনি।

ওই নির্মানাধীন এলাকায় স্থানীয় মুজিবর রহমান ঘোরাঘুরির সময় বলেন ভারত কয়েক বছর আগে নির্মান করেছে পেট্রাপোল আইসিপি ওপেন ইয়ার্ড। বড় বড় বোঝাই আমদানি রফতানি ট্রাক তার পর বিচারন করছে প্রায় অর্ধযুগেরও বেশী। সেখানে কোন রকম অনিয়ম হয়নি। ওই বন্দরের ওপেন ইয়ার্ড শত বছরেও কিছু হবে না। আর আমাদের বেনাপোলে যা হচ্ছে এটা ট্রাক উঠার আগেই ফাটল এরপর ট্রাক উঠলে কি হবে আপনারা অবশ্যই তা বুঝতে পারছেন।

এস এস আর গ্রুপ এর প্রকৌশী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, এটা জোড়া লাগানোর মুখ তাই এরকম ফেটে গেছে। জোড়া লাগালে একটি লেভেল থাকবে এত আকা বাকা হয়ে এবং মাঝে মধ্যে অনেক জায়গায় ফেটে গেছে এছাড়া সিমেন্ট দিয়ে বন্দের ও চেষ্টা করা হয়েছে যা দেখা যাচ্ছে এরকম আমাদের বোঝালে কি করে বুঝব এরকম প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন এটা প্রতিষ্ঠানের ব্যাপার । আমি চাকুরি করি এর বেশী কিছু বলতে পারব না। তাছাড়া আপনার জানেন যে কোম্পানিতে চাকুরী করা হয় তার বিরুদ্ধে কিছু বলা যায় না। তবে এর পর আর একটি ঢালাই হবে তখন এসকল ফাটল দেখা যাবে না।

এ বিষয় বেনাপোল স্থল বন্দরের উপ-পরিচালক মনিরুল ইসলামকে কয়েকবার ফোন দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেন নাই।
উল্লেখ্য বেনাপোল স্থল বন্দর এর শেড নির্মানে এর আগেও দুর্নিতী হয়েছে। আবার শেডের মালামাল সুকৌশলে সরিয়ে আগুন ধরিয়ে দিয়ে শাক দিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্টা ও করেছে অনেক শেড ইনচার্জ। ভারত সংলগ্ন এই ওয়্যারহাউজটি নির্মানে এত টাকা ব্যায়ে নির্মান প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার আগে বিষয়টি ক্ষতিয়ে দেখা উচিৎ।