দুই লাখ টাকা চাঁদার দাবিতে যশোর শহরতলীর রাজারহাট মোড়ে হার্ডওয়ার ব্যবসায়ি জামাল হোসেন ফুলনের দোকানে হামলা ভাংচুর, মারপিট ও টাকা ছিনিয়ে নেয়ার ঘটনায় ৯ জনের নামে কোতয়ালি থানায় মামলা হয়েছে। মামলায় অজ্ঞাত নামা আরো ২/৩ জনকে আসামি করা হয়।
মামলার আসামিরা হলো, যশোর সদর উপজেলার মুড়লি ঈমান বাড়ি রোড মোসলেম উদ্দীনের ছেলে মাহমুদ হাসান লাইফ, ধোপাপাড়া পুকুর কুল এলাকার ইব্রাহিমের ছেলে চশমা সাগর, একই এলাকার ইব্রাহিমের ছেলে উছামা, ধোপাপাড়া পুকুর কুলের আব্দুল্লাহ, একই এলাকার মুক্তি উইনুছ মুন্সীর ছেলে রুম্মান হোসেন, ফরিদের ছেলে রকি, রাজারহাট স্কুল পাড়ার জালাল উদ্দিনের ছেলে জিহাদ হোসেন, রামনগর পুকুর কুলের বকুল হোসেন ড্রাইভারের ছেলে রায়হান ও শ্রীবর্দ্দী ঘোড়াগাছা এলাকার আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে ইস্তেহাকসহ অজ্ঞাত নামা ২/৩ জন।
মামলায় বাদি বলেছেন, তিনি হার্ডওয়ার ব্যবসায়ি। পক্ষান্তরে আসামিরা চাঁদাবাজ, অস্ত্রধারি, মাদক ব্যবসাযি, ছিনতাইকারি, এলাকার তালিকাভূক্ত চিহ্নিত সন্ত্রাসী। তাদের সন্ত্রাসী কার্যকলাপে এলাকার সাধারণ জনগন অতিষ্ট হয়ে পড়েছে। বদি দীর্ঘদিন ধরে রাজারহাট মোড়ে সুনামের সাথে ব্যবসা করে আসছে। বেশ কিছুদিন যাবত মাহমুদ হাসান লাইফের হুকুমে আসামিরা বাদিকে ব্যবসা করতে দিবে না বলে বিভিন্ন প্রকার হুমকি ধামকি ও খুন জখমের হুমকি দিতে থাকে। এক পর্যায় মাহমুদ হাসান লাইফের হুকুমে সকল আসামি বাদির কাছে ২লাখ টাকা চাঁদাদাবি করে। বাদি তাদের কথায় রাজি না হওয়ায় আসামিরা বাদিকে বলে যে, তাদের চাঁদার টাকা না দিলে বাজারে ব্যবসা করতে পারবে না। প্রয়োজনে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাংচুর করে উচ্ছেদ করে দিবে।
বাদি তাদের কার্যকলাপের বাধা নিষেধ করলে তারা বাদির প্রতি ক্ষিপ্ত হয়ে বাদি ও বাদির ছেলে সিয়ামকে জানে মেরে ফেলার জন্য বিভিন্ন প্রকার ষড়যন্ত্রসহ প্রকাশ্যে জীবন নাশের হুমকি দিয়ে আসছিল। ৫ নভেম্বর বিকেল ৫ টায় রাজারহাট মোড় শশ্মান মার্কেট রং ঘরের সামনে বাদি ও বাদির ছেলে অবস্থান করছিলো। চাঁদা না দেয়ার জের ধরে আসামিরা পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে দেশিয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে বাদির উপর আক্রমন করে।
লাইফের হুকুমে চশমা সাগর ধারালো দা দিয়ে বাদির ছেলে সিয়ামকে খুন করার উদ্দেশ্যে মাথায় কোপ মেরে রক্তাক্ত জখম করে। উছামা সিয়ামকে বার্মিজ চাকু দিয়ে খুন করার উদ্দেশ্যে আঘাত করলে তার রানে লেগে জখম হয়।
সকল আসামি বাদি ও বাদির ছেলেকে মারপিট করে জখম করে। দোকানে ঢুকে ভাংচুর করে ৫০ হাজার টাকা ক্ষতি সাধনসহ দোকানের ক্যাশ থেকে নগদ ৮০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়। বাদি ও তার ছেলের চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে গেলে আসামিরা প্রাণ নাশের হুমকি দিয়ে চলে যায়। গুরুতর জখম অবস্থায় বাদি ও তার ছেলেকে উদ্ধার করে যশোর ২৫০শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ব্যাপারে বাদি আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করলে বিচারকের নির্দেশের অফিসার ইনচার্জ সোমবার গভীর রাতে কোতয়ালি থানায় মামলা হিসেবে রেকর্ড করা হয়। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত আসামিরা গ্রেফতার হয়নি।