বাগআঁচড়ায় সম্পত্তি জালিয়াতি ও মামলা চলাকালীন গাছ কর্তনের অভিযোগ

যশোরের শার্শা উপজেলার বাগআঁচড়া ইউনিয়নের সামটা গ্রামের খানজাহান আলীর পৈত্রিক সম্পত্তি জাল দলিলে বিক্রি ও কোর্টে মামলা চলাকালীন জবরদখল করে গাছ কর্তনের অভিযোগ উঠেছে।

শার্শা থানা ও অভিযোগ কারীর অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে, পৈত্রিক সম্পত্তি পিতা মৃত বাহার আলীর মৃত্যুর পর শার্শা উপজেলার বাগআঁচড়া ইউনিয়নের সামটা গ্রামের খানজাহান আলীর (শার্শা উপজেলা অন্তর্গত ১২৬ নং সামটা মৌজার) পৈত্রিক সম্পত্তি ৯৩ শতক জমি তাহার বে-মাতা ভাই বজলুর রহমান ওয়ারীশ ফাঁকির মাধ্যমে নিজ নামে ভোগ-দখলের পর ১৪৮১ সাবেক হাল দাগের ৩৯ শতক জমি অনত্র বিক্রয় করিলে উক্ত ভুক্তভোগী খানজাহান আলী দেওয়ানী কোর্ট আদালতের স্বরনাপন্ন হয়ে মামলা করেন।

এমতাবস্থায় ভুক্তভোগী অভিযোগ পত্রের উল্লেখ সহ তিনি জানিয়েছেন, যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলা দেউলী গ্রামের উপরোক্ত জাল দলিলের জমি ক্রয়কারী মনির হোসেন (৪৫), পিতা মৃত আঃ লতিফ হোসেন, কোর্ট-মামলা অবমাননা সহ বিবাদী সহিত ষড়যন্ত্র করিয়া তাহার স্বত্ব দখলীয় বসত বাড়ির জমির জোরপূর্বক স্থানীয় সন্ত্রাসী ভাড়া করে ২১/১০/২০২২ তারিখ এর দিনে ২৪/২৫ বছরের আগের পুরাতন গাছ কর্তন করেছেন, অভিযোগকারী আরও জানিয়েছেন, আমি উক্ত বিষয়ে থানায় অভিযোগ মামলা করেছি।

এবিষয়ে আরো জানা গেছে উক্ত জমি সংক্রান্ত অভিযোগের পর দুইপক্ষের লোকজনকে থানায় ডেকে নিয়ে ১১ নভেম্বর (শুক্রবার) বিকালে এক সালিশী বৈঠকে বিবাদীদেরকে কোন প্রকার জোর জবরদখল ও হামলা করা থেকে বিরত এবং কোন ধরনের স্থাপনা নির্মাণ সহ গাছ কর্তন থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে।

এবিষয়ে উক্ত জমি ক্রয়কারীর মনির হোসেনের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, এই সম্পত্তিটি আমি তার বড় ভাই বজলুর রহমানের কাছ থেকে কিনেছি দলিলের কাগজপত্র দেখে, কিন্তু কেনার পর বহু ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এছাড়াও জানিয়েছেন ক্রয়কৃত জমির দলিল রেখে ব্যাংক থেকে কয়েক লক্ষ টাকা ঋণও নিয়েছেন তিনি।

এবিষয়ে শার্শা থানার উপ- পুলিশ পরিদর্শক এসআই রাসেদ হোসেনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা একটি অভিযোগ পেয়েছি এবং তাদের উভয়কে থানায় ডেকে এনে বলা হয়েছে পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত ওই জমিতে কেউ কোন নতুন স্থাপনা, ফসলি এবং বনজ গাছ কর্তন থেকে বিরত থাকবে।